চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানদের সামনে ৩০৭ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান।
সাগরিকায় সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
আফগান পেইসারদের সামলে শুরুটা ভালো করলেও জুটি বড় করতে পারেননি তামিম ও লিটন। তামিমের বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
২৪ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে ফজলহক ফারুকির শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তামিমকে। স্কোরবোর্ডে সে সময় রান ৩৮।
তামিম ইকবালের বিদায়ের পর লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান। খেলছিলেন দেখেশুনে। উইকেটে কাটিয়ে দেন ৯ ওভার।
৪৫ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন সাকিব। ২০ রান করে রাশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ফলে বাংলাদেশ হারায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট।
দলের রান তখন ৮৩। সেখান থেকে দলকে দেড় শ রান পার করিয়েছেন লিটন ও মুশফিকুর। গড়েছেন ২০২ রানের জুটি।
এটি আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তৃতীয় উইকেট জুটি।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূর্ণ করতে লিটন খেলেন ৬৫ বল। হাঁকান ৮টি ৪।
লিটনের পর ফিফটি তুলে নেন মুশফিকও। ক্যারিয়ারের ৪১তম ওডিআই ফিফটি করতে ৫৬ বল খেলেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।
সেঞ্চুরি তুলে নিয়েই আফগানদের সামনে মারকুটে ভূমিকায় অবতীর্ণ হন লিটন। একের পর এক বাউন্ডারিতে একটু একটু করে আফগানদের চাপা দিতে থাকেন রান পাহাড়ে।
রেকর্ড গড়া সেই জুটি ভাঙ্গে ১২৬ বলে ১৩৬ করে লিটনের বিদায়ের মধ্য দিয়ে। পার্টনারের বিদায়ের পর আউট হন মুশফিকও। যার ফলে লিটন সাজঘরে ফেরার পরের বলেই ৮৬ করে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।