আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ১১৫ রানেই থামিয়ে দিয়েছে আফগানরা। সিরিজে সমতা আনতে আফগানিস্তানের দরকার ১১৬ রান।
এদিন ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে কিছুটা স্বস্তি পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলে বাংলাদেশ।
শনিবার মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে গেছেন মুনিম শাহরিয়ার। এই তরুণ ওপেনার ১০ বল খেলে করেছেন ৪ রান। তিনে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন লিটন দাস। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ বল খেলে আনলাকি থার্টিনে কাটা পড়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার ইনিংসে একটি ছয়ের মার ছিল।
আরেক ওপেনার নাঈম শেখ এদিনও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। শুরুতে রশিদ খানের বলে একবার আম্পায়র আউট দেয়ার পরও রিভিইউ নিয়ে বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ১৩ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন নাঈম। যেখানে ৬৮.৪২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন এই ওপেনার।
চারে নামা সাকিব আল হাসানও এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। ১৫ বলে ৯ রান করে এই অলরাউন্ডার ফিরেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে। ৫০ পেরোনোর আগেই চার টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে হাল ধরেন। এই দুই অভিজ্ঞের ব্যাটে ভর করে বিপর্যয় সামাল দেয় বাংলাদেশ।
শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৪ বলে ২১ রান করে ফিরেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। আর মুশফিকুর রহিম সাজঘরে ফিরেছেন ২৫ বলে ৩০ রান করে। শেষ দিকে আফিফ হোসেন-মেহেদি হাসানরাও ব্যর্থ হলে ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তোলে বাংলাদেশ।