বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার কুইন্টন ডি কক।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষের একটি ম্যাচ শুরুর আগে হাঁটু গেড়ে বা অন্য ভঙ্গির মাধ্যমে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অস্বীকৃতি জানিয়ে দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন ডি কক।
তার সেই সিদ্ধান্তের জন্য তিনি ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, শুরুতেই আমি আমার সতীর্থ ও আমার দেশের সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
কুইন্টন ডি ককের বিবৃতিতে বলা হয়েছে তিনি এটাকে, 'কুইন্টন ইস্যু' বানাতে চাননি।
তিনি যোগ করেছেন, আমি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত এবং আমি বুঝি একজন খেলোয়াড় হিসেবে উদাহরণ তৈরি করা আমার দায়িত্ব। যদি হাঁটু গেড়ে বসে অন্যদের সচেতন করা যায় এবং আরও অনেকের জীবন শ্রেয়তর করে তোলা যায়, আমি এটা খুশি মনে করবো।
তিনি বলেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে না খেলে আমি কাউকে অসম্মান করার চেষ্টা করিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের তো না-ই।
কুইন্টন ডি কক নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করে লিখেছেন, আপনারা অনেকেই জানেন না, আমি মিশ্র বর্ণের পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমার সৎ বোনেরা নানা রঙের, আমার সৎ মা কালো। কেবলমাত্র কোনো আন্তর্জাতিক আন্দোলনের জন্য এটা না, কালো মানুষের জীবন গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্ম থেকেই।
কুইন্টন ডি ককের মনে হয়েছে যেভাবে হাঁটু গেড়ে বসার নিয়মটা অপরিহার্য করা হয়েছে তাতে করে তার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোর্ডের সাথে গত রাতে একটা আবেগঘন বৈঠক হয়েছে। এখন আমরা একে অপরের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে ভালো জানি। এটা আগে হলে ভালো হতো, তাতে ম্যাচের দিন যা হয়েছে তা এড়ানো যেত।
কুইন্টন ডি কক বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড হুট করে যে নির্দেশনা দিয়েছিল তা কোনো আলোচনা ছাড়াই হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আমি যদি বর্ণবাদী হতাম। আমি অনায়াসে হাঁটু গেড়ে বসতাম এবং মিথ্যা বলতাম, যা ভুল হতো। এতে সমাজ সুন্দর হতো না। যারা আমার সাথে বড় হয়েছে এবং ক্রিকেট খেলেছে তারা জানে ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে কী কী শুনতে হয়েছে। ওকে সরিয়ে দেও! গর্ধব! স্বার্থপর! অপরিপক্ক! এতে আমি আঘাত পাইনি। আমি আঘাত পেয়েছি একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে যখন আমাকে বর্ণবাদী বলা হলো।