পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই হার। আর তাতে ফিকে হয়ে যায় চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন। তবে স্কটল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে কিছুটা আশা ফিরে পেয়েছিল ভারত। কিন্তু ভারতের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন চূর্ণ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
রোববার আবুধাবিতে সুপার টুয়েলভে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আফগানদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ টু থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
এদিন শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ১২৪ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। এর জবাবে ১১ বল হাতে রেখেই ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কেন উইলিয়ামসনের দল। এ নিয়ে টানা চার জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা।
১২৫ রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ড্যারেল মিচেল। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ১২ বলে ১৭ রান করে ফেরেন তিনি। পাওয়ার প্লে-টা ভালোভাবে কাজে লাগালেও এরপর চাপে পড়ে কিউইরা। প্রথম ৬ ওভারে ৪৫ করার পরের চার ওভারে তোলে মাত্র ২১ রান।
এরই মধ্যে বিদায় নেন মার্টিন গাপটিল। ২৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৮ রান করে রশিদ খানের শিকার হন তিনি। গাপটিলকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রশিদ।
রানের চাপ না থাকলেও আফগান বোলারদের কৃপণ বোলিংয়ে বেশ কিছু সময় উইকেট কামড়ে পড়ে থাকেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এরপর হাত খুলতে শুরু করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন ডেভন কনওয়ে।
তৃতীয় উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তারা। উইলিয়ামসন ৪০ রানে এবং কনওয়ে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে আসেন দুই আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও মোহাম্মদ শাহজাদ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে দ্বিতীয় বলে শাহজাদকে সাজঘরে ফেরান এডাম মিলনে। ১১ বলে মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।
পরের ওভারের প্রথম আরেক ওপেনার জাজাইকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। মাত্র দুই রান করে ফেরেন তিনি।
কিউই বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি রহমানুল্লাহ গুরবাজও। টিম সাউদির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। ফেরার আগে ৯ বলে করেন ৬ রান।
পাওয়ার প্লেতে তিন ব্যাটসম্যান হারানোর পর গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। কিন্তু ১৮ বলে ১৫ রান করা নাইবকে ফিরিয়ে তাদের ৩৭ রানের জুটি ভাঙেন ইশ সোধি।
দলের বিপর্যয়ে ঝড়ো ব্যাট করেন জাদরান। অন্যরা রান না পেলেও চার ছয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। ৩৩ বলে চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় করেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। তাকে কিছু সময় সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। তাদের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন সাউদি। ২০ বলে ১৪ করা নবীকে সাজঘরে ফেরান এই কিউই পেসার।
ইনিংসের ১৮তম ওভারে জাদরানকে ফেরান বোল্ট। আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৬ চার ও তিন ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান করিম জানাতকেও সাজঘরে ফেরান বোল্ট।