ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিন ফের ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছে বাংলাদেশ। তবে জাকির হাসানের পর লিটন দাসের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩১ রান করতে পারে স্বাগতিকরা। যেখানে ভারতকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে টাইগাররা।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শুরুতে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ব্যক্তিগত ৫ রানে এলবি হন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ হাফসেঞ্চুরি করা মুমিনুল হকও ৫ রানে মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হন।
গতকাল আইপিএলে দল পাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৩ রানে তিনি জয়দেব উনাদকাটের বলে আউট হন। দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও দ্রুত ফিরে যান। অক্ষর প্যাটেলের বলে এলবি হন ৯ রানে।
অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করা ওপেনার জাকির হাসান ৫১ রানে বিদায় নেন। দলীয় শতকের পর ১৩৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজানো এই বাঁহাতি উমেশ যাদবের বলে মোহাম্মদ সিরাজকে ক্যাচ দেন।
এরপর উইকেটে এসে অক্ষর প্যাটেলের বলে শূণ্য রানে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে সপ্তম উইকেট জুটিতে লিটন দাস ও নুরুল হাসান সোহান দ্রুত ৪৬ রান তোলেন। অনেকটা ঝড়ো ব্যাট করেন নুরুল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৯ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ করে প্যাটেলের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন।
অন্যদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দৃঢ় ব্যাটিং করে যান লিটন দাস। অষ্টম উইকেট জুটিতে তিনি লেজের ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে নিয়ে ৭৬ বলে ৬০ রান তোলেন। অবশেষে মোহাম্মদ সিরাজের বলে ব্যক্তিগত ৭৩ রানে বোল্ড হন লিটন। ৯৮ বলে ৭টি চারে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফসেঞ্চুরি।
তাইজুল ইসলাম (১) অশ্বিনের বলে দ্রুত ফিরে যান। আর খালেদ আহমেদ ৪ রানে রান আউট হলে সমাপ্তি হয় বাংলাদেশ ইনিংসের। তাসকিন ৪৬ বলে ৪টি চারে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান অক্ষর প্যাটেল। দুটি করে উইকেট দখল করেন অশ্বিন ও সিরাজ।
এর আগে দ্বিতীয় দিন বিনা উইকেটে ৭ রান করে মাঠ ছেড়েছিল টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে ছিলেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করে। জবাবে ভারত ৩১৪ রানে অলআউট হয়।