লিওনেল মেসি ও ইদ্রিসা গুইয়ের গোলে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়েছে পিএসজি।
মঙ্গলবার রাতে পিএসজির ঘরের মাঠে পার্ক ডি প্রিন্সে এ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। ম্যাচটিতে পিএসজির জয়ের অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা।
প্রথম গোলটি করেন গুইয়ে পরে ব্যবধান বাড়ান মেসি। লিগ ওয়ানের দলটির হয়ে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন এ আর্জেন্টাইন। বল দখল ও আক্রমণ উভয় দিকে এগিয়ে থাকলেও পিএসজির গোলরক্ষক ডনারুম্মাকে পরাস্ত করতে পারেনি সিটি। এক গোলরক্ষকের কাছেই হার মানতে হয়েছে পেপ গার্দিওলার দলকে।
পুরো ম্যাচে আক্রমণের আধিপত্য ছিলো ম্যান সিটির। অন্তত ১৮টি শট করে তারা। যার মধ্যে ৭টি ছিলো লক্ষ্যে। সাতটিই ফিরিয়ে গোলবার অক্ষত রাখেন ডনারুম্মা।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম গোল করে পিএসজিই। বাইলাইন থেকে কাইলিয়ান এমবাপের কাটব্যাক করা বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি নেইমার, ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন ম্যান সিটির রিয়াদ মাহরেজও। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বিনা বাঁধায় বল জালে জড়ান গুইয়ে।
পরে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেছেন মেসি। আক্রমণে ছিলো সিটিজেনরাই। পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠে বল পান মেসি। সেটি ধরে দ্রুততার সঙ্গে চলে ম্যান সিটির ডি-বক্সের কাছে। গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তাকে এড়িয়ে পাস দেন কাইলিয়ান এমবাপের উদ্দেশ্যে।
নিজের কাছে বল রাখেননি এমবাপে। প্রথম ছোঁয়ায় ফিরতি পাস দেন মেসিকে। ততক্ষণে ডি-বক্সের মুখে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে মেসি। ফিরতি বল পেয়ে বাঁ পায়ের জাদুকরী শটে ব্যবধান ২-০ করেন ছয়বারের ব্যালন ডি অর জয়ী ফুটবলার।
ম্যান সিটির বিপক্ষে এ গোলটি করে নতুন আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ১৭ মৌসুমে গোল করলেন তিনি। একই রাতে এ রেকর্ড গড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমাও। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রয়েছে টানা ১৬ মৌসুমে গোল।
এ গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির গোলসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২১টি। এর মধ্যে ২৭টিই করেছেন ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর বিপক্ষে। যা কি না অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে ১৫টি বেশি।
মেসি-গুইয়ের গোলে পাওয়া জয়ের সুবাদে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে পিএসজি। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট ক্লাব ব্রুগেরও। তবে গোল ব্যবধানে তারা রয়েছে দুই নম্বরে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে ম্যান সিটি রয়েছে দুই নম্বরে।
