সর্বশেষ ২০২১ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন মুমিনুল হক। দুই বছর পর আবারো ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন এই ব্যাটসম্যান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শান্তর পর এই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুমিনুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তাতে আফগানিস্তানের সামনে দাঁড়ায় ৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি মুমিনুলের ১২তম সেঞ্চুরি। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি তার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০টি করে সেঞ্চুরি আছে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির পাশাপাশি হাফ সেঞ্চুরিও এসেছে দুইটি। ওপেনার জাকির হাসান আউট হয়েছেন ৭১ রান করে। আর অধিনায়ক লিটন দাস অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে।
দ্বিতীয় দিনের ১ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলতে নামে বাংলাদেশ। আগের দিনে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির হাসান এদিনও খেলতে থাকেন ওয়ানডে স্টাইলে। দুজনে দেড়শ রানের জুটি পূর্ণ করেন মাত্র ১৬৬ বলে। তবে ১৯১ রানের মাথায় জাকির ফিরলে ভাঙে ১৭৩ রানের জুটি। ৯৫ বলে ৮টি চারের সাহায্যে ৭১ রান করে ফেরেন জাকির।
চার নাম্বারে মাঠে নামেন মুমিনুল হক। জাকির ফিরলেও আগের গতিতেই রান তুলতে থাকেন মুমিনুল ও শান্ত। প্রথম সেশনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করে রেকর্ডের পাতায় জায়গা করে নেন এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখান তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ২ উইকেটে ২৫৫ রান নিয়ে।
যদিও বিরতির পরপর একই ওভারে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জহির খানের করা ইনিংসের ৫৪তম ওভারের প্রথম বলেই আউট শান্ত। যাওয়ার আগে ১৫১ বলে ১৫টি চারের মাধ্যমে ১২৪ রান করেন শান্ত। পাঁচে নেমে নিজের সামলানো দ্বিতীয় দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান মুশফিকুর রহিম। তবে তার পরের বলেই জহিরকে রিভার্স করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। তবে পঞ্চম উইকেটে লিটনকে নিয়ে আরো আগ্রাসী খেলতে থাকেন মুমিনুল।দুজনে মিলে ১০০ রানের জুটি গড়েন মাত্র ১০৭ বলে। এর পরপরই ১২৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। শেষ পর্যন্ত মুমিনুল ১২১ রানে এবং লিটন ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ২৩৬ রানের লিড থাকায় বাংলাদেশের সামনে ছিল ফলো অন করানোর সুযোগ। তবে সেটি না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।