প্রচ্ছদ ›› খেলা

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ আগস্ট ২০২১ ২৩:০৬:০৮ | আপডেট: ৩ years আগে
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

অস্ট্রেলিয়াকে টানা তিন ম্যাচ হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১১৭ তোলে সফরকারীরা।

শুক্রবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো হয়নি সফরকারী অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডের। মাত্র আট রানের মাথা তাকে ফেরান নাসুম আহমেদ। মিচেল মার্শ ও ওপেনার বেন মেকডরমোটের দারুণ জুটিতে শুভ সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ তোলেন ৩৫ রানে অপরাজিত মার্শ। কিন্তু সহজ ক্যাচটি ধরে ফেলে দেন শরিফুল। তাতেই অজিদের চাপে ফেলার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। যদিও পরের ওভারে এসে মেকডরমোটকে ফিরিয়ে ৬৩ রানের এই জুটি ভাঙেন সাকিব। পরের ওভারে নতুন ব্যাটসম্যান মইসেস হ্যানরিকসকে ফিরিয়ে অজিদের চাপে ফেলেন শরিফুল।

৩৫ রানে জীবন পেয়ে অর্ধশতক তুলে নেন মার্শ। কিন্তু তাকে বেশিদূর যেতে দেননি পেসার শরিফুল। ৪৭ বলে ৫১ রান করে ফেরেন এ বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। মার্শের বিদায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় টাইগাররা।

শেষ দুই ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। সিরিজ জিততে হলে দায়িত্ব নিতে হবে বোলারদেরই। বল হাতে তাই করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ১ রান। তাতেই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় টাইগারদের। শেষ ওভারে ২২ রান প্রয়োজন হয় অজিদের। শেখ মেহেদী হাসান বল করতে এসে প্রথমে ছয় দিলেও পরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাতেই ১০ রানের জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগাররা।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হতাশ করেন ওপেনাররা। মাত্র ১ রান করেই হ্যাজলউডের শিকার হন মোহাম্মদ নাইম। এরপরেই ২ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তাকে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা।

এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে। ঠান্ডা মাথায় খেলছিলেন তারা। জাম্পাকে তুলে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন সাকিব। দৌড়ে গিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন অ্যাগার। ১৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

ক্রিজে এসে আশা জাগিয়েছিলেন আফিফ। কিন্তু মিড-অফে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ড্রাইভ দিয়ে ধরে ওঠার আগেই ছুঁড়ে মেরেছেন অ্যালেক্স ক্যারি, যে থ্রো-তে সরাসরি ভেঙেছে স্টাম্প। ১২তম ওভারের শেষ বলে ৪র্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৩ বলে ১৯ রান তুলেছেন আফিফ।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শামীম হোসেনও। হ্যাজলউডের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে টাইমিং করতে পারলেন না শামীম। মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি, ৮ বলে ৩ রান করে। মিডউইকেটে পেছন দিকে ছুটে বেশ ভালো ক্যাচ নেন বেন ম্যাকডারমট।

এরপর রানআউট হয়ে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। ৫ বলে ১১ রান করেন তিনি। ৫৩ বলে ৫২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। মোস্তাফিজ ফেরেন শূন্য রানে। মেহেদী হাসান ৬ রানে ও শরিফুল শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান।