সুপার টুয়েলভে টানা তিন হারে কার্যত শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের বাকি দুই ম্যাচ রূপ নিয়েছে কেবলই নিয়ম রক্ষার আনুষ্ঠানিকতায়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ থেকে এখনো পাওয়ার আছে বাংলাদেশের। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ তো কিছু পায়-ই নি, বরং হতশ্রী ব্যাটিংয়ে আরেকবার হতাশায় ডুবিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা।
মঙ্গলবার আবুধাবির শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ইনিংস স্থায়ী হয় ১৮.২ ওভার পর্যন্ত। কিন্তু তাতেও দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ।
প্রোটিয়াদের বোলিং তোপে গুটিয়ে যাওয়ার আগে স্কোরকার্ডে মাত্র ৮৪ রান যোগ করতে সমর্থ হন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে বেশ ইতিবাচকই মনে হচ্ছিল দুই ওপেনার নাঈম শেখ এবং লিটন দাসকে। কিন্তু সেই ইতিবাচকতা বেশিক্ষণ টেকেনি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে রাবাদাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে রেজা হেন্ডরিকসকের সহজ ক্যাচে পরিণত হন নাইম। ৯ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরের বলে ব্যর্থ হন সৌম্য সরকারও। রাবাদার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার গিয়ে সরাসরি আঘাত হানে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানে পাডে। কিন্তু আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।
দলের বিপর্যয়ে নিজের উইকেট রেজা হেন্ডরিকসের হাতে তুলে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম। তিন বল থেকে শূন্য রানে ফেরেন তিনি। তাতে পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২৮ রান।
এদিকে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এনরিচ এর্টজের বাউন্সার ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের গ্লাভস ঘেঁষে এইডেন মারক্রামের তালুবন্দি হয়।
এর পরের ওভারে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা আফিফ হোসেনকে গোল্ডেন ডাকে ফেরান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। তবে ব্যাটসম্যানদের নিয়মিত আসা যাওয়ার মধ্যেও ব্যাট হাতে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু দলীয় ৪৫ রানে লিটনকেও সাজঘরে পাঠান তাবরাইজ শামসি। ৩৬ বলে ২৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
এরপর দলীয় ৬৪ রানে শামীম পাটোয়ারিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান শামসি। ২০ বলে মাত্র ১১ করে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। শেষদিকে উইকেটে কামড়ে থেকে দলকে কিছুটা সম্মানসূচক রানের মর্যাদায় নিয়ে যান মাহেদী হাসান।
বল হাতে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা ও এনরিচ নর্টজে। এছাড়া তাবরাইজ শামসি দুটি এবং ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস নেন এক উইকেট।