মোহাম্মদ জাকারিয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের নামে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ও ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণ করবে সরকার।
স্টেডিয়ামটি এমনভাবে নির্মাণ করা হবে, যাতে ক্রিকেট-ফুটবল খেলার পাশাপাশি গ্যালারিতে বসে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। স্টেডিয়ামটিতে প্রায় ৫০ হাজার দর্শক একসাথে খেলা দেখতে পারবেন।
স্টেডিয়ামটি হবে দেশের অন্যান্য স্টেডিয়াম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্টেডিয়ামের নির্মাণশৈলীও হবে নান্দনিক। অন্য সব স্টেডিয়াম গোল আকৃতির হলেও পরিকল্পিত এ স্টেডিয়ামের একপাশ খোলা থাকবে।
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সসহ স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক মুহাম্মদ সারোয়ার জাহান বলেন, কক্সবাজারে স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ প্রায় শেষ হওয়ায় জরিপ প্রতিবেদনটি চলতি বছরের ২৩ ডিসেম্বর দেয়া হবে।
সম্ভাব্যতা সমীক্ষার নির্দেশনা অনুযায়ী সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের মূল প্রকল্প মন্ত্রণালয় হাতে নেবে বলেও জানান তিনি।
প্রকল্পটির পরিকল্পনার এক সিনিয়র কর্মকর্তা কমিশন দ্য বিজনেস পোস্ট’কে জানান, ৪.৩৮ কোটি টাকার প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত করা হয়, তবে ব্যয় বাড়ানো হয়নি।
কক্সবাজারে থাকার ব্যবস্থা খুবই ভালো। এখানে বেশ কিছু ফাইভ স্টার হোটেলসহ বিভিন্ন মানের হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে। এসব কারণে এখানে আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল-ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্টেডিয়ামের ফাঁকা জায়গা, একটি দর্শনীয় একাডেমিক ভবন, তারকাখচিত হোটেল, জিমনেসিয়াম এবং সুইমিং জোনও নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।