আইপিএলের চলতি মৌসুমে দিল্লি ক্যাপিটালসের চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথমবার সুযোগ পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ পেসার একটি উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে। তার দল দিল্লি রোমাঞ্চ জাগিয়ে ইনিংসের শেষ বলে হারে। দিল্লিকে রোহিত শর্মার মুম্বাই ৬ উইকেটে হারিয়ে আসরের প্রথম জয় ঘরে তোলে।
মঙ্গলবার রাতে আসরের ১৬তম ম্যাচে অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা দিল্লি ১৯.৪ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই।
১৯তম ওভারে আসা মোস্তাফিজুর রহমান শেষ তিন বলে যেন এলোমেলো হয়ে গেলেন। দুই ছক্কায় দিলেন ১৩ রান। সমীকরণ হয়ে গেল একদম সহজ। ৬ বলে প্রয়োজন ৫ রান। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিলেন আনরিখ নরকিয়া। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানকে আটকে রাখলেন শেষ বল পর্যন্ত। নাটকীয় লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত অবশ্য জিততে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস।
১৭২ রান নিয়ে দিল্লি শুরুতে বাজে বোলিং করলেও পরে ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি তারা। তাদের পুঁজি শেষ বলে ছুঁয়ে ফেলে মুম্বাই। ইয়র্কার দিয়ে শেষ ওভারটি শুরু করেন নরকিয়া, আসে ১ রান। পরের বলে টিম ডেভিডের ক্যাচ ছাড়েন মুকেশ কুমার। তৃতীয় বলটি ছিল লেগ সাইডে ইয়র্কার, শুরুতে আম্পায়ার ওয়াইড দিলেও রিভিউ নিয়ে সিদ্ধান্তে বদল আনে দিল্লি। পরের দুই বল থেকে আসে দুটি সিঙ্গেল।
শেষ বলে দুই রানের প্রয়োজনে নরকিয়ার বলটি কোনোমতে লং-অফে ঠেলেই দুই রান নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ডেভিড ওয়ার্নার থ্রো ঠিকঠাক করতে পারলে রানআউটের সুযোগ ছিল। কিন্তু দিল্লি অধিনায়ক থ্রো করেন কিপারের মাথার অনেক ওপরে।
মুম্বাই ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৫ বলে ৬৫ রান অধিনায়ক রোহিতকে অবশ্য মোস্তাফিজই ফেরান। তিলক ভার্মা করেন ২৯ বলে ৪১ রান। আর ইশান কিষাণ ৩১ রান করে রান আউট হন।
ছন্দহীন বোলিংয়ে ৪ ওভারে মোস্তাফিজ দেন ৩৮ রান। ২৪ বলের মধ্যে তিনি ডট দেন ১১টি। হজম করেন ৫ চার ও ২ ছক্কা।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লিকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার পথে ৫ ছক্কা ও ৪টি চারে ২৫ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন আকসার প্যাটেল। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৬ চারে ৪৭ বলে ৫১ রান করেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটসম্যানের চার ম্যাচে এটি তৃতীয় ফিফটি।
চলতি টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচের সবকটি হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে রয়েছে দিল্লি।