কিভাবে টেস্ট খেলতে হয়, সেই সঠিক মানসিকতা দেশের ক্রিকেটারদের শিখতে হবে বলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফরা।
রোববার সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান বিসিবি সভাপতি পাপন।
তিনি বলেন, টেস্ট ক্রিকেটারদের টানা ১০ দিন খেলার মানসিকতার অভাব দেখে হতাশ কোচিং স্টাফরা।
তিনি আরও বলেন, ‘কোচরা আমাকে জানিয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করতে হলে, আমাদের আরও কাজ করতে হবে। কারন বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরই ১০ দিন খেলার মানসিকতা নেই।’
সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে ছুটিতে ছিলেন কোচিং স্টাফরা। ছুটি শেষে গতকাল ঢাকায় আসেন প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ, ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স ও পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
এদিন বিকেলে টেস্ট দল চট্টগ্রাম রওনা দেয়ার কারনে তাড়াহুড়া করে তাদের সাথে বৈঠকে বসেন বিসিবি সভাপতি। টেস্ট অধিনায়ক মোমিনুল হকের সাথেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাজে পারফরমেন্সের কারনে ভুলগুলো জানতে দলের সাথে বসেন পাপন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মত ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নজির গড়ার পরও প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন ম্যাচ হারে টাইগাররা। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাজে পারফরমেন্স অব্যাহত থাকায় সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।
বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অবিস্মরনীয় টেস্ট জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিলো আকাশ চুম্বি।
পাপন বলেন, ‘টেস্ট পারফরমেন্স নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। কোচিং স্টাফরা আমাকে শেষ ৪-৫টা টেস্ট ম্যাচের উদাহরণ দিলো, যেখানে আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম, কিন্তু তা ধরে রাখতে পারেনি। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও ভালো প্রতিন্দ্বন্দিতা করতে পেরেছি কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে হাল ছেড়ে দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম টেস্টটা আমরা মাঝেমাঝে ভালোই খেলি কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের মেলে ধরতে পারি না। আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নয়তো টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের ভালো করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
বিসিবি সভাপতি জানান, টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করার জন্য এখন এই ফরম্যাটেই বেশি মনোযোগ তাদের।