এবারের বিপিএল শুরুর আগে খুলনা টাইগার্সকে হিসাবের বাইরেই রেখেছিল বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর পর থেকে একের পর এক জয় তুলে নিচ্ছে সেই দলটিই। আজ সোমবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের ফিফটিতে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিল দলটি। এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নিল খুলনা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে এদিন নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৩২ বল ও ১০ উইকেট রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। যদিও দলীয় ৫০ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল এভিন লুইসকে।
১৩১ রানের লক্ষ্যে ঝোড়ো শুরুই করেছিলেন লুইস ও বিজয়। প্রথম ৫০ রান আসে মাত্র ৪ ওভার ৩ বলে। এরপরই ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লুইসকে। এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে অপরাজিত ৮১ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন বিজয়। তিনি অপরজিত ছিলেন ৪৮ বলে ৫৮ রান করে। ৪টি চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৯ ওভারের মধ্যে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৫ রান করে ফেললেও ১৩০ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা। টস জিতে এদিন ব্যাটিং বেছে নেন ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতারই প্রমাণ দিচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সাইম আইয়ুব। একপ্রান্তে সাইম কিছুটা রক্ষণাত্মক থাকলেও শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন নাঈম। ওপেনিং জুটিতে ৭৫ রান করার পর আউট হন নাঈম। ২১ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
নাঈমের বিদায়েরর পর থেকেই শুরু হয় মড়ক। ৭৭ রানের মাথায় ফেরেন সাইমও (৩৫)। এরপর একে একে বিদায় নেন গুলবাদিন নাইব, এসএম মেহরব, ইরফান শুক্কুর, মোসাদ্দেক হোসেন, উসমান কাদিররা। এর মাঝে ১৪ বলে ২১ রান করে ১১৪ রানের মাথায় বিদায় নেন অ্যালেক্স রসও। তবে শেষ উইকেটে দৃঢ়তা দেখান আরাফাত সানি ও শরিফুল ইসলাম। দশম উইকেটে ১৬ রান যোগ তো করেনই দলকে বাঁচান অলআউটের হাত থেকে।
বল হাতে এদিন দুর্দান্ত ছিলেন খুলনার পাকিস্তানি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন উজ্জ্বল আরেক পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমও। পেসার মুকিদুল ইসলামও ২ উইকেট নেন।
নিজেদের খেলা ৪ ম্যাচের সবকয়টিতে জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে এখন খুলনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে চট্টগ্রাম। ৪ ম্যাচে মাত্র ১ জয় পাওয়া ঢাকা ২ পয়েন্ট নিয়ে ৭ দলের মধ্যে আছে ছয় নম্বরে। সবার শেষে মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেট।