প্রচ্ছদ ›› খেলা

দুই ওপেনারকে হারিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:১৪:২৭ | আপডেট: ২ years আগে
দুই ওপেনারকে হারিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

আয়ারল্যান্ড যখন ২১৪ রানে অলআউট হয়, তখন ম্যাচের ৭৭.২ ওভার। অর্থাৎ শেষ বিকেলে ১০-১২ ওভারের মতো ব্যাট করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে এই সময়টুকু নিজেদের বিপদমুক্ত রাখতে পারেনি টাইগাররা। দুই ওপেনারকে হারিয়ে দিন শেষে স্কোরবোর্ডে সংগ্রহ ৩৪ রান। প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে ১৮০ রানে।

আইরিশদের ২১৪ রানের জবাবে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মার্ক অ্যাডায়ারের করা পঞ্চম বল কাট করতে গিয়ে ব্যর্থ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। বল গিয়ে আঘাত হানে সরাসরি স্ট্যাম্পে। এরপর সাবলীলভাবেই খেলছিলেন অপর ওপেনার তামিম ইকবাল ও ওয়ান ডাউনে নামা মুমিনুল হক। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে ছক্কা মেরে ফর্মে ফেরার জানান দিচ্ছিলেন তামিম। তবে বলে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ম্যাকব্রাইন। বল করে গেছেন নিখুঁত লাইন-লেন্থে। ম্যাকব্রাইনের করা ১০ম ওভারের শেষ বলের টার্ন এবং বাউন্স বুঝতে না পেরে সেকেন্ড স্লিপে ক্যাচ উঠিয়ে দেন তামিম (২১)। প্রথম উইকেট নেয়া অ্যাডায়ার সেটি তালুবন্দী করতে কোনো ভুল করেননি। এরপরই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়ার। মুমিনুল অপরাজিত ১২ রানে।

এর আগে, বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। ৪৮ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা দেখাতে পারেনি আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। একে একে ফিরে যান মুরে কমিনস, জেমস ম্যাককলাম ও অধিনায়ক বালবির্নি। তবে চতুর্থ উইকেটে দারুণ এক প্রতিরোধ গড়েন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফার। ৭৪ রানের জুটি গড়ে বিপদমুক্ত করেন দলকে।

তবে ১২২ থেকে ১২৪- ৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আইরিশরা। অভিষেক টেস্টে হাফসেঞ্চুরি করা টেক্টরকে ১২২ রানের মাথায় বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপরই তাইজুলের জোড়া আঘাত। ফিরে যান পিটার মুর ও ক্যাম্ফার। তবে লোরকান টুকারের ৩৭ ও শেষদিকে মার্ক অ্যাডারের ৩২ রানে দুইশ ছাড়ানো রান তোলে আইরিশরা।

এই ম্যাচে ৬ বোলার নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। পেসার এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন খালেদ আহমেদ। স্পিন বিভাগে সাকিবের সঙ্গে ছিলেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাচে আইরিশদের প্রথম দুই উইকেট পেসাররা নিলেও বাকি গল্প লিখেছেন স্পিনাররা। যেখানে সর্বাগ্রে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ৫৮ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল। মিরাজের শিকার ২ উইকেট।

তবে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে অধিনায়ক সাকিবের দীর্ঘ সময় বল না করার বিষয়টি। ম্যাচের ৬৬তম ওভারে প্রথমে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। মাত্র ৩ ওভার বল করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।