প্রচ্ছদ ›› খেলা

নাঈম-মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৪৬:৫৭ | আপডেট: ৩ years আগে
নাঈম-মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ

শুরুটা করে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম। শুরুর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন মুশফিকুর রহিম। লঙ্কান বোলারদের সামনে দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। নাঈম-মুশফিকের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশও পেয়েছে লড়াকু সংগ্রহ।

রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৭১ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন লিটন দাস। ওপেনিংয়ের ধারাবাহিক ব্যর্থতা কাটিয়ে পাওয়ার প্লেতে দুজন মিলে সচল রাখেন চাকা। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান পেলেও ৫ ওভার শেষে দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৩৮ রান। কিন্তু পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন লাহিরু কুমারা।

লিটনকে ফিরিয়ে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ডানহাতি এই লঙ্কার পেসার। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে মিড অফে লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। আউট হওয়ার আগে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। ১৬ বলে ২টি চারে ১৬ রানের ইনিংসটি সাজান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪১ রান।

লিটনের বিদায়ের পর তিন নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেছিলেন সাকিব। সপ্তম ওভারে চরিত আশালাঙ্কাকে দুটি চার মেরে দুর্দান্ত শুরু করেন তিনি। কিন্তু ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি এই অলরাউন্ডার।

অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে চামিকা করুণারত্নের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ২ চারে সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭২ রান।

অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারালেও দলের উপর কোনো প্রভাব পড়তে দেননি মুশফিকুর রহিম। নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গেল আর বাউন্ডারিতে সচল রাখেন রানের চাকা। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি।

এর মধ্যে ১৪তম ওভারে অল্পের জন্য রান আউট থেকে রক্ষা পান নাঈম। এই ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ওভারের চতুর্থ বলে লাহিরু কুমারাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৪ বলে টি-টোয়েন্টি চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে এটা নাঈমের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে রাউন্ড ওয়ানে ওমানের বিপক্ষে ৬৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি।

দারুণ খেলতে থাকা নাঈমকে ৬২ রানে থামান বিনুরা ফার্নান্দো। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে টপ এজ হয়ে বিনুরার হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন নাঈম। আউট হওয়ার আগে ৫২ বলে ছয়টি চারে নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। 

নাঈম ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকও। ১৮তম ওভারে লাহিরু কুমারার প্রথম বলেই সিঙ্গেল নিয়ে ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

মুশফিককে সঙ্গে দেওয়া আফিফ হোসেন ধ্রুব পড়েন রান আউটের ফাঁদে। মুশফিক হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর দুই বলের ব্যবধানে রান আউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৬ বলে ১ চারে আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।

শেষদিকে ৫ বলে দুই চারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ১৭১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। আর ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংসটি সাজান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

শ্রীলঙ্কার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন চামিকা করুনারাত্নে, বিনুরা ফার্নান্দো ও লাহিরু কুমারা।