এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নিজেদের হাতছাড়া না করার লড়াইয়ে নামার আগে শুক্রবার শেষবারের মতো নিজেদের ঝালাই করে নিয়েছেন জ্যোতি-সালমারা। দুপুরে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। এ সময় থাইল্যান্ডও অনুশীলন সেরে নেয়।
মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেটের আগের আসরের চ্যাম্পিয়ান বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে চেনা আবহাওয়া আর নিজেদের দর্শক। ফলে এবার স্বাভাবিকভবেই লক্ষ্য শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা। সেই লক্ষ্য নিয়েই আগামীকাল শনিবার মাঠে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা।
আগামীকাল সকালে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ তে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের ম্যাচ দিয়েই মাঠে গড়াবে মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট। এবার এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে সাতটি দল।
অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ দলনেতা নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো টার্গেট নয়, ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো করতে চাই আমরা। আমাদের লক্ষ্য দুটি ভালো খেলা আর ট্রফি ধরে রাখা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভালো খেলতে চাই। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ভালো খেলছিও। সেটা ধরে রাখতে চাই। এই ট্রফিটা আমাদের ছিলো। সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করবো। ভালো খেললেই সেটা সম্ভব। প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না। অন্য টিম নিয়ে আমাদের ভাবনার কিছু নেই। আমরা আমাদের সেরাটা খেলতে চাই। প্ল্যান মতো কাজ করতে পারলে আমরা সফল হব।’
মেয়েদের সবচেয়ে বেশি খেলা হয় সিলেটের মাঠেই। অনুশীলন ক্যাম্পও হয় এখানে। ফলে সিলেটই তাদের হোম গ্রাউন্ড জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘মেয়েদের হোম ভেন্যু সিলেট। এখানে আমরা সবসময় খেলি। এই হোম ভেন্যুর সুবিধা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবো। আমরা যেহেতু এখানে বেশি খেলি তাই এখানকার সবকিছুই আমাদের পরিচিত।’
ঘরের মাঠে খেলায় সুবিধা যেমন আছে তেমন আছে চাপও। থাকে দর্শকের প্রত্যাশার চাপও। তবে এসব চাপ একেবারেই আমলে নিতে চান না জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘নিজের ঘরে খেলার কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। আমাদের টার্গেট ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলা। আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই আমাদের। যখন যে পরিস্থিতি আসে সে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। আমি ভালো ফর্মে আছি, সেটা ধরে রাখতে পারলে টিমের জন্য ভালো হবে। অন্যদেরও সেরাটা দিতে হবে।’
এই শরতেও সিলেটে গরম প্রচুর। দিনভর কাঠফাটা রোদ। তবে আবহাওয়ার এই বৈরিতা তেমন সমস্যা সৃষ্টি করবে না জানিয়ে দলনেতা বলেন, ‘আবহাওয়া নিয়ে চিন্তা করছি না। আবুধাবিতে আরও গরম ছিলো। আমরা সেখানে কিছুদিন আগেই খেলে এসেছি। ওখানে কোনো সমস্যা হয়নি। কেউ ইনজুরিও হয়নি। এখানে আমরা চাইবো সবাই যাতে পুরো ফিট থাকে। ইনজুরি কাটিয়ে পেসার জাহানারা আলমের দলে ফেরা বাড়তি শক্তি হিসেবে কাজ করবে আমাদের।’
দলের সাম্প্রতিক পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট প্রধান কোচ একেএম মাহমুদ ইমন। সেটি ধরে রাখতে পারলেই চ্যাম্পিয়ান হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। ইমন বলেন, ‘দল উন্নতি করছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে। গত কয়েকটি টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলছি। সব খেলোয়াড় ছন্দে আছে। ফলে এখানে ভালো কিছু হবে বলে আশা করছি।’
কোচ মনে করেন বাংলাদেশ দল এখন যে অবস্থানে আছে তাতে অন্য টিমকে নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। বরং নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামতে হবে। এশিয়া কাপের আগে প্রস্তুতি নিয়েও সন্তুষ্ট কোচ।