অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বের। প্রথম ম্যাচেই অজি বোলারদের তোপের মুখে পড়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও জস হ্যাজেলউডদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েরর দিনে প্রোটিয়াদের দারুণভাবে ভুগিয়েছেন অজি স্পিনাররাও। তাতে মাত্র ১১৮ রানেই থেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
শনিবার আবুধাবিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বল হাতে দুটি করে উইকেট শিকার করেন স্টার্ক, হ্যাজলউড ও এডাম জাম্পা। বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেলে অজিদের প্রয়োজন ১১৯ রান।
শুরু ব্যাট করতে আসেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। প্রথম ওভারে বল করতে আসা মিচেল স্টার্কের কাছ থেকে আদায় করেন ১১ রান। বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তাতেই মেলে সফলতা। স্টার্ককে দুই বাউন্ডারি হাঁকানো বাভুমাকে সাজঘরে ফেরান এই স্পিনার। দুই বাউন্ডারিতে ৭ বলে ১২ রান করেন তিনি।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসেই নতুন ব্যাটসম্যান রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে সাজঘরে ফেরান জস হ্যাজলউড। মাত্র দুই রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। নিজের পরের ওভারে আরেক ওপেনার ডি কককে সাজঘরে ফেরান হ্যাজলউড। বল স্কুপ হয়ে ফিরে এসে সরাসরি বোল্ড হন ১২ বলে ৭ রান করা এই ব্যাটসম্যান। তিন উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে আসে মাত্র ২৯ রান।
চতুর্থ উইকেটের জুটিটাও দীর্ঘায়িত করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। আইডেন মার্করামের সঙ্গে ২৩ রানের জুটি গড়ে ফেরেন হেনরিখ ক্লাসেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শেষ বলে ১৩ রান করা ক্লাসেনকে ফেরান কামিন্স। পাঁচে আসা ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৩৪ রানের আরও একটি জুটি গড়েন মার্করাম। দলীয় ৮০ রানের মাথায় মিলারকে ফেরান এডাম জাম্পা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দলের বিপর্যয়ের সময় ৩৪ বলে ৪০ করে স্টার্কের শিকার হন মার্করামও।
শেষ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কাগিসো রাবাদা ছাড়া কেউই দুই অংক ছুঁতে পারেনি। রাবাদার ২৩ বলে অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে নয় উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।