প্রচ্ছদ ›› খেলা

ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ, ২১ রানে জয় পাকিস্তানের

ক্রীড়া ডেস্ক
০৭ অক্টোবর ২০২২ ১২:০৬:১৬ | আপডেট: ২ years আগে
ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ, ২১ রানে জয় পাকিস্তানের
ইয়াসির | সংগৃহীত ছবি

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪৬ রান করেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে পাকিস্তান জয় তুলে নিয়েছে ২১ রানের। শেষ দিকে ইয়াসির আলী দারুণ ব্যাটিং করলেও তা শুধুমাত্র পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।

প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৫০ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৬৭ রান জমা করে পাকিস্তান । আর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

দলের হয়ের সর্বোচ্চ রান আসে ইয়াসির আলী রাব্বির। ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ২১ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। যদিও পরাজয় এড়াতে পারেননি। তবে তার এমন ইনিংসে বড় ব্যবধানে হার এড়াল বাংলাদেশ।

১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মন্থর শুরুর পর রানের চাকা সচল করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে বেশিদূর এগুতে পারেননি তারা। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে আসে ২ ওপেনারকে হারিয়ে ৩৮ রান।

দুজনেই শুরু থেকে ধরে খেলার চেষ্টায় ছিলেন। পরে ৪র্থ ওভারে হারিস রউফকে ছক্কা মেরে মিরাজ হাত খুললেও পরের ওভারেই সীমানায় আউট হয়ে ফেরেন তিনি।

৫ম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে উড়িয়ে মারেন মিরাজ। ডিপ স্কয়ার লেগে বল তালুবন্দি করেন হাসান আলি। ১১ বলে ১০ রানে সমাপ্তি ঘটে মিরাজের ইনিংসের। তার আউটের পর ওয়ানডাউনে নামেন লিটন দাস।

মিরাজের পর ৬ষ্ঠ ওভারে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির। হারিস রউফের বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন সাব্বির। মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি। আগেই ব্যাটের ফেস আগেই ক্লোজ করে নেওয়ায় কানায় লেগে উঠে যায় উপরে। অনায়াসে ক্যাচ নেন বোলার নিজেই। ১৮ বলে এক চারে সাব্বির করেন ১৪। তার আউটের পর ব্যাট হাতে নামেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

আফিফকে নিয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করেন লিটন। দারুণভাবে এগিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু দ্রুতই দুটো উইকেট হারিয়ে ফেলায় ছন্দে পতন ঘটল টাইগারদের।

মোহাম্মদ নাওয়াজের বলে দুই রান নেওয়ার পর সিঙ্গেল নেন আফিফ। ৩৯ বলে তার সঙ্গে লিটন দাসের জুটির ৫০ স্পর্শ করে। পরের বলে স্লগ সুইপের চেষ্টায় সীমানায় ধরা পড়লেন লিটন দাস। ২৬ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

দুই বলে উইকেটের ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই ফিরে গেলেন আফিফ হোসেন। শাহনাওয়াজ দাহানির বলে মিডউইকেটে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ২৩ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ রান করেন আফিফ।

খেলার এ পর্যায়ে ১৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর হয় ৪ উইকেটে ৯৯। জয়ে জন্য দরকার পগে ৩৭ বলে ৬৯ রানের। এ সময় ক্রিজে সোহানের সঙ্গী হন ইয়াসির আলি চৌধুরি। কিন্তু শাদাব খানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হলেন সোহান। শাদাবকে স্লগ সুইপ করে ওয়াইড লং অনে ধরা পড়েন এই কিপার-ব্যাটার। ৯ বল এক চারে তিনি করেন ৮।

ইয়াসিরের সঙ্গী হন তাসকিন। জয়ের জন্য এ সময় প্রয়োজন পড়ে ১৮ বলে ৫৯ রান। সে কথা মাথায় রেখে ১৮তম ওভারে ধানির বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান ইয়াসির। শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪৯ রানের। এ সময় ধুমধাড়াক্কা চার- ছক্কা দেখতে পাওয়ার কথা। কিন্তু উল্টোটাই ঘটল।

১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে তাসকিন ও নাসুমকে সাজঘরে ফেরালেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। মাত্র ২ রানে ফিরলেন তাসকিন। আর নাসুম রানের খাতাই খুলতে পারলেন না। সেই ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

একপ্রান্ত ধরে রেখে খেলে যান ইয়াসির। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪২ রানের। পরাজয় শুধু সময়ের ব্যাপার। তবে দারুণ দুটি বাউন্ডারি ও এক ছক্কা হাঁকিয়ে পরাজয়ের ব্যবধানকে কমালেন ইয়াসির।

পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার আজ মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন। ২৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন নওয়াজ। একটি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহনেওয়াজ ধানি, হারিস রউফ ও শাদাব খান।