বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে ওমান। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে রীতিমতো উড়ন্ত সূচনা পেয়েছে স্বাগতিকরা।
রোববার ওমানের আল আমিরাত স্টেডিয়ামে অধিনায়ক জিশান মাকসুদের ঘূর্ণিতে পাপুয়া নিউ গিনিকে ১২৯ রানে আটকে ফেলে ওমান। এরপর দুই ওপেনার আকিবল ইলিয়াস এবং জতিন্দর সিংয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
এদিন ব্যাট হাতে অপরাজিত ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন জতিন্দর। অপরপ্রান্তে থাকা আরেক ওপেনার আকিব ইলিয়াসের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান।
১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস ও জতিন্দর সিং। পাওয়ার প্লেতে দুজন মিলে যোগ করেন ৪৬ রান। প্রথম দশ ওভারে আসে ৮৮ রান। শেষ পর্যন্ত ১৩.৪ ওভারেই জয় তুলে নেন দুই ওপেনার।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেই ওমানের বোলারদের তোপের মুখে পড়েন পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনার টনি উরাকে সাজঘরে ফেরান বিল্লাল খান। চারটি বল খেলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারের তৃতীয় বলে আরেক ওপেনার লেগা সিয়াকাকে শূন্য রানে ফেরান কলিমুল্লাহ।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক আসাদ ভালার সঙ্গে দারুণ সঙ্গ দেন চার্লস আমিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন মিলে যোগ করেন ৮১ রান। কিন্তু ১২তম ওভারে নিজেদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন আমিনি। সাজঘরের ফেরার আগে ২৬ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৭ রান করেন আমিনি।
১৩তম ওভারে স্বাগতিক অধিনায়কের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি ও শেষ বলে ছক্কায় ৪০ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন পিএনজির অধিনায়ক আসাদ ভালা। বিশ্বকাপ মঞ্চে নিজের প্রথম ম্যাচ ফিফটি দিয়ে রাঙিয়ে নিলেন তিনি। ৪৩ বলে চার বাউন্ডারি ও তিন ছয়ে ৫৬ করে কলিমুল্লাহর দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান দেওয়া স্বাগতিক অধিনায়ক জিশান মাকসুদ পরের ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। প্রথম বলে নরম্যান ভানুয়াকে ফেরার পর তৃতীয় বলে সেসে বাউকে ফেরান তিনি। পরের বলে নতুন ব্যাটসম্যান কিপলিন দোরিগাকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান এই স্পিনার।
শেষদিকে একের পর এক উইকেট হারিয়ে খৈ হারিয়ে ফেলে পিএনজি। তাতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।