দুই দলের জন্যই বাঁচা-মরার লড়াই। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে দুই দলের সামনে জয় ভিন্ন কোনো বিকল্প নেই। কঠিন সমীকারণের এমন ম্যাচে টস ভাগ্য সহায় হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বুধবার শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিংয়ের শুরুটা খারাপ করেননি বাংলাদেশি বোলাররা। পাওয়ার প্লেতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদি হাসান। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ক্যারিবিয় শিবিরে আবারও আঘাত হানেন মাহেদি।
আর তাতে মাত্র ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় ক্যারিবিয়রা। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৪৮ রান।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৯ রান তুলতে সক্ষম হন দুই ক্যারিবীয় ওপেনার ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন রিয়াদ। আর প্রথম ওভারেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন বাঁহাতি এই পেসার।
মুস্তাফিজের করা ওভারের শেষ বলটি তুলে মারতে গিয়ে বাতাসে ভাসিয়ে দেন এভিন লুইস। স্কয়ার লেগে দৌড়ে এসে সহজ ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়রা। ৯ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন লুইস।
পঞ্চম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন মাহেদি। এসেই সাফল্য এনে দেন দলকে। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই গেলকে বোল্ড করেন ডানহাতি এই স্পিনার। ওভারের দ্বিতীয় বলে এই অফস্পিনারের ঘূর্ণিতে ইনসাইড এজড হয়ে ১০ বলে মাত্র ৫ রান করে ফেরেন গেইল। ১৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে আরও বিপাকে পড়ে যায় উইন্ডিজ।
এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে মাহেদির বলে আউট হলেন গেইল।
বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে শেষে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৮ রান তুলতে সক্ষম হয় ক্যারিবিরা। বিশ্বকাপে পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি।
এ ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ক্যারিবিয় শিবিরে আবারও আঘাত হানেন মাহেদি। নিজের তৃতীয় ওভারে রোসটন চেজের কাছ থেকে পেয়েছিলেন ফিরতি ক্যাচ। কিন্তু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ফেলেন এই অফস্পিনার। পরের বলেই মাহেদিকে তুলে মারতে গিয়ে লং-অফে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন ৭ বলে ৯ রান করা শিমরন হেটমায়ার। আর আতে ৩২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ক্যারিবিয়রা।