২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ১২৮১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৪০৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৮৭৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য এই বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
২০২১-২২ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ৪৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতের পরিমাণ ছিল ৮০৪ কোটি ৯৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
গত অর্থ বছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বাজেটের পরিমাণ ছিল ১২৬৪ কোটি ১৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। অর্থাৎ এবারের প্রস্তাবিত বাজেট গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বেশি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়ার মানোন্নয়ন ও খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করে আসছে সরকার। এছাড়াও দেশিয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, এসোসিয়েশন ও সংস্থাকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান ও ক্রীড়াসামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। খেলাধুলাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে যা ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের প্রদান করা হচ্ছে।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট।
এই বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৫.৫ শতাংশ।
এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট।
২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সেই তুলনায় ২০২২-২৩ নতুন বাজেটের আকার বাড়ছে ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা।