প্রচ্ছদ ›› খেলা

সিরিজ জিতে টাইগারদের ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক
১২ মার্চ ২০২৩ ১৮:২০:১২ | আপডেট: ১ year আগে
সিরিজ জিতে টাইগারদের ইতিহাস
সংগৃহীত ছবি

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল টাইগাররা।

সাকিব আল হাসানের পর সাজঘরে ফিরলেন আফিফ হোসেনও। শেষ ৮ রানে ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মিরাজ, সাকিবের পর ফেরেন আফিফ। তাদের বিদায়ে ৯৭ থেকে ১০৫ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলছে দুদল। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় মাঠে গড়ায়। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

প্রথমে ব্যাট করতে নামা ইংলিশদের শুরু থেকেই চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা। বিশেষ করে মেহেদী হাসান মিরাজের অসাধারণ ঘূর্ণিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করে ইংল্যান্ড। ১১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ও ৭ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

ইংলিশদের দেওয়া ১১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে স্যাম কারানের বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন লিটন দাস। আর ষষ্ঠ ওভারে জোফরা আর্চারের বলে মঈন আলীর ক্যাচ হন রনি তালুকদার (৯)।

ব্যক্তিগত ১৭ রানে রেহান আহমেদের শিকার হন তৌহিদ হৃদয়। তবে ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ দুই ছক্কায় ১৬ বলে ২০ রান করেন। আর্চারের বলে বিদায় নেন তিনি। কিন্তু মঈন আলীর বলে তুলে মারতে গিয়ে শূন্য রানে ফেরেন সাকিব। শেষ দিকে আফিফ আর্চারের তৃতীয় শিকার হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ২ রানে সরাসরি বোল্ড হন তিনি।

কিন্তু এক পাশে আগলে রেখে ব্যাট করে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৪৭ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আর শেষ দিকে তাসকিন আহমেদ ৩ বলে ২টি চারে ৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালানকে শুরুতে ফেরান তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৫ রানে থাকা মালানকে হাসান মাহমুদের ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিন।

দলীয় ৫০ থেকে ৫৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় ইংলিশরা। ম্যাচের সপ্তম ওভারে আরেক ওপেনার ফিল সল্টকে বিদায় করেন সাকিব আল হাসান। ২৫ রানে থাকা এই ব্যাটারকে নিজের ক্যাচেই মাঠ ছাড়া করান টাইগার অধিনায়ক। এরপর উইকেটে আসা সফরকারী অধিনায়ক জস বাটলারকে ব্যক্তিগত ৪ রানে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে ১৫ রানে থাকা মঈন আলীকে বিদায় করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মিরাজের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। স্যাম কারান (১২) ও ক্রিস ওকসকে শূন্য রানে ফেরান এই স্পিনার। পরে ক্রিস জর্ডানকেও (৩) বিদায় করেন তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমানে শেষ ওভারে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারায়। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করা বেন ডাকেটকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান কাটার মাস্টার। পরে রেহান আহমেদ ও জোফরা আর্চার রান আউট হন।

বাংলাদেশ বোলার মিরাজ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট পান তাসকিন, মোস্তাফিজ, সাকিব ও হাসান।

বাংলাদেশ একাদশ ছিলেন- লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।

ইংল্যান্ড একাদশ ছিলেন- ফিল সল্ট, জস বাটলার (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ডেভিড মালান, বেন ডাকেট, মঈন আলী, স্যাম কারান, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, রেহান আহমেদ, জোফরা আর্চার।