অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের লড়াই। একদিন পরই সুপার টুয়েলভে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে।
প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হারলেও বাকি দুই ম্যাচে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানার আপ হিসেবে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে নেয় টাইগাররা। অপরদিকে ‘এ’ গ্রুপে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং নামিবিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার টুয়েলভে উঠে এসেছে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কা।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছিল। এছাড়া শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম রাউন্ডের খেলাগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছে। যে কারণে আজকের ম্যাচে তারা কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। তবে গ্রুপ পর্বের ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন নন বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
শনিবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে প্রথম রাউন্ডে যা ঘটেছিল তা সুপার টুয়েলভে খুব প্রভাব ফেলবে। দুই দলই আগামীকাল থেকে শুরু করছে। তাদের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ও টেস্টে আমাদের ভালো কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ভালো বোলারের পাশাপাশি কিছু ভালো ব্যাটিংয়েও আমাদের ভারসাম্য রয়েছে। সাকিবের মতো আমাদের একজন বিশ্বমানের অলরাউন্ডার আছে। ঢাকার উইকেটের মতোই শারজাহার উইকেট। আশা করি, এটি আমাদের সহায়তা করবে।’
সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাদের পাশাপাশি মোহাম্মদ নাঈম, মাহেদী হাসান, আফিফ হোসেন এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো তরুণদের পারফরম্যান্সের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল বাংলাদেশ। ওমানের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করলেও শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ব্যর্থ হয়েছেন নাঈম। এদিক বল হাতে দুর্দান্ত থাকলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন মাহেদী।
এছাড়া চলমান বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নিজেকে পুরোপুরি তুলে ধরতে পারেননি আফিফ হোসেন। তবে ডমিঙ্গো বিশ্বাস, এই খেলোয়াড়রাই সুপার টুয়েলভে দলের পার্থক্য তৈরি করে দিতে সক্ষম।
তিনি বলেন, ‘আমি মাহেদীর একজন বড় ভক্ত। আমি মনে করি ওর খেলার কৌশল এবং আত্মবিশ্বাস এটি গুরুত্বপূর্ণ। দলের যেকোনো পজিশনে খেলতে সে প্রস্তুত। দলের প্রয়োজনে এগিয়ে যায় সবসময়। যেখানেই নামবে সে তার কাজ করতে রাজি।’
কোচ জানান, এই ফরম্যাটের জন্য আফিফ হোসেন এবং নুরুল হাসান সোহানও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। বিশ্বকাপে আফিফ তার ব্যাটিংয়ে কিছু ঝলক দেখালেও, সোহান এখনও তার যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেনি।
এদিকে লঙ্কানদের বিপক্ষে লেগ স্পিনে কখনোই স্বচ্ছন্দে ছিল না বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশের জন্য বরাবরই অস্বস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছেন লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
তবে লঙ্কান স্পিনের বিপক্ষে দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে যথেষ্ট নির্ভার ডমিঙ্গো। তার দাবি, হাসারাঙ্গার দক্ষতা ও কৌশল নিয়ে পুরোপুরি সচেতন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা।