বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অধিকার-এর নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান।
পরে ওই বিবৃতির সারমর্ম তুলে ধরে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানায়, নাগরিক সমাজ-সংগঠনগুলো গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর বলেছে, মৌলিক স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারকে উৎসাহ, সুরক্ষা ও বাস্তবায়নের অধিকার সবার আছে।
জনগণের স্বাধীনভাবে ও কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই মানবাধিকারকে উৎসাহিত করতে সুযোগ পাওয়া উচিত।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের মুখপাত্র অধিকারকে একটি খ্যাতনামা ও সম্মানিত মানবাধিকার সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, অধিকারের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ’ ও ‘প্রপাগান্ডা প্রচারের’ অব্যাহত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ওই সংস্থার নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাভিনা শামদাসানি বাংলাদেশ সরকারকে অধিকারের বিষয়ে ওই সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করার ও অধিকারকে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পূর্ণ বিচারিক পর্যালোচনার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার কাঠামোতে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের সামর্থ্যের ওপর ওই ঘটনার বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে। এ নিয়ে আমরা আরো উদ্বিগ্ন। ’