সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন এমন দাবি করে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে সংসদের নিম্নকক্ষে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশও করেছে বিরোধী দল। তবে এই অনাস্থা ভোটের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র দেখছেন ইমরান খান। খবর ডনের।
বুধবার ইমরান খান জানিয়েছেন, তার কাছে বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ আছে।
গতকাল পাকিস্তান সরকারের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতিকে ষড়যন্ত্র বিষয়ক চিঠিটা দেখানোর জন্য প্রস্তুত আছেন ইমরান খান। একই সাথে জানানো হয়েছিল, চিঠিটি স্পর্শকাতর হওয়ায় পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়নি।
এর আগে রবিবারের জনসমাবেশেও ইমরান খান পকেট থেকে একটি চিঠি বের করে জানিয়েছিলে, ওই চিঠিতে বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ আছে। তিনি বলেছিলেন, ‘সরকার বদলাতে বিদেশি তহবিল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে অর্থ আসছে, দেশের মানুষকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেকেই বুঝতে পারছে না যে তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর কিছু আছেন যারা স্বেচ্ছায় অর্থের বিনিময়ে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।’
বুধবারের অনুষ্ঠানে ইমরান খান অনাস্থা ভোটকে গণতন্ত্রের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বলেই আখ্যা দিয়েছেন।
তবে এসময় ইমরান বলেছেন, “এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা ষড়যন্ত্র, এটা তখন থেকেই শুরু হয়েছে, যখন থেকে বিদেশ থেকে ফোন করে পাকিস্তানকে চালানোর চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। তারা মানুষের জন্য কাজ করা নেতৃত্বকে সহ্য করতে পারছে না।’
ইমরান আরও বলেন, “আমার কাছে যে তথ্য আছে, আমি আজ জেষ্ঠ্য সাংবাদিকদের দেখাবো। আমরা জাতিকে রক্ষা করতে চাই। কিন্তু আমরা বিস্তারিত সবার জন্য প্রকাশ করতে পারবো না। মানুষ ভাবছে এটা একটা কৌতূক, তাই আমি শীর্ষ সাংবাদিকদের সাথে এটা শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি থেকে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য বেরিয়ে গেছেন, এতে তিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন- এমনটা দাবি করে মার্চ মাসের শুরুর দিকে বিরোধীদলগুলোর একটি জোট তার প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনে।