যে ভোটের নির্বাচনী প্রচারণায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, সেই ভোটই রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশটিতে। তাকে হারানোর শোক নিয়েই ভোটকেদ্রে হারিজ হয়েছেন ভোটাররা।
দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়াতে পারে। এ দলেরই নেতা ছিলেন আবে। এলডিপিতে যার প্রভাবশালী উপস্থিতি ছিল।
শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নারাতে স্থানীয় প্রার্থীর সমর্থনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করা হয় আবে কে, যা গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ হিসেবে নিন্দার ঝড় ওঠে বিশ্বব্যাপী।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন, আবেকে হত্যায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে থামিয়ে দেবে না।
তিনি শনিবার বলেন, নির্বাচনের সময় বক্তৃতা দমন করার জন্য সহিংসতাকে কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। এ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড গণতন্ত্রের ভিত্তি।
সংসদের কম শক্তিশালী উচ্চকক্ষের আসনগুলোর জন্য এসব নির্বাচন সাধারণত বর্তমান সরকারের ওপর গণভোট হিসেবে দেখা হয়।