ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এতে আরও ১১ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে প্রদেশটিতে বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। খবর এনডিটিভি’র।
মঙ্গলবার এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে আসাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে ৪৭ লাখেরও বেশি মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছেন। আসাম রাজ্যের ৩৬টি জেলার মধ্যে ৩২টিই বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
এএসডিএমএ জানিয়েছে, দাররাং জেলায় তিন জন, নগাঁওয়ে দুজন এবং কাছাড়, দিব্রুগড়, হাইলাকান্দি, হোজাই, কামরূপ ও লখিমপুরে এক জন করে নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন, যারা নগাঁওয়ে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে বন্যার স্রোতে ভেসে গেছেন।
এ ছাড়া, উদালগুড়ি ও কামরূপে দুজন এবং কাছাড়, দারাং ও লখিমপুরে এক জন করে নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ফোন করে বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নিয়েছেন। পরে হিমন্ত শর্মা এক টুইটে বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বন্যা পরিস্থিতির খবর নিতে সকাল থেকে দু’বার ফোন করেছেন। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি জানার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শিগগিরই এক দল কর্মকর্তাকে পাঠাবে।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
গত এক সপ্তাহের প্রলয়ংকরী বন্যায় আসামের ৫ হাজার ৪২৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের অন্তত ২ লাখ ৩১ হাজার ৮১৯ জন মানুষকে ৮১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।