ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিনিপ্রোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। খবর বিবিসি’র।
রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিনিপ্রো ছাড়াও রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ ও ওডেসাতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ অবকাঠামোতেও হামলা হয়েছে। এতে ইউক্রেনের অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়েছে বিবিসি জানিয়েছে, ডিনিপ্রো শহরে নয় তলা একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ভবনটির কয়েকটি ফ্লোর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে এই হামলায় ১৪ জন নিহতের পাশাপাশি ১২ শিশুসহ অন্তত ৭৩ জন আহত হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সহায়তা হিসেবে দেশটিতে ‘চ্যালেঞ্জার টু’ ট্যাংক পাঠানো হবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধান সামরিক যান হিসেবে ব্যবহৃত চ্যালেঞ্জার ট্যাংক হাতে পেলে তা 'রুশ সেনাবাহিনীকে পিছু হটাতে' ইউক্রেনকে সহায়তা করবে।
এর জবাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সরবরাহ করা হলে তা দেশটিতে রুশ সামরিক অভিযানের তীব্রতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে, যা শেষ পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি বাড়াবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত ছয় শিশুসহ ভবন থেকে ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবশ্য আবাসিক এই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকটি কেন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে সে সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য নেই। কারণ, এই ভবনটি নিকটতম বিদ্যুৎ অবকাঠামো থেকে কিছুটা দূরে।
এদিকে ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্কসহ কিয়েভের অন্যান্য মিত্ররা শনিবারের রুশ হামলার নিন্দা করেছেন। ডিনিপ্রোতে হওয়া হামলাকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ব্রিঙ্ক লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের আত্মরক্ষায় সাহায্য করার জন্য আরও নিরাপত্তা সহায়তা আসছে।’