প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের রাজধানীর কাছেই পৌঁছে গেছে রুশ সেনাবহর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১১ মার্চ ২০২২ ১১:৩০:২০ | আপডেট: ২ years আগে
ইউক্রেনের রাজধানীর কাছেই পৌঁছে গেছে রুশ সেনাবহর

রুশ বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় কিয়েভের তিন মাইল বা পাঁচ কিলোমিটার কাছাকাছি এগিয়ে এসেছে, একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো ছবিতে কিয়েভের কাছে একটি রুশ সেনাবহর দেখা গিয়েছে। সেখানে কিয়েভের আশেপাশের অঞ্চলে রুশ বাহিনীকে পুনরায় মোতায়েন হতে দেখা গেছে।

এটি ইউক্রেনের রাজধানীর দিকে রুশ বাহিনীর নতুন করে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

ম্যাক্সার টেকনোলজিস-এর মতে, কনভয়গুলোকে শেষবার আন্তোনভ বিমানবন্দরের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে দেখা গিয়েছিল - কিন্তু এখন সেগুলো আশেপাশের শহরে অবস্থান নিতে সরে গিয়েছে।

ম্যাক্সার বলছে যে অন্যান্য ছবিতে দেখা যায় যে, কিছু কনভয় লুবিয়াঙ্কার কাছে অবস্থান নিয়েছে এবং কাছাকাছি আর্টিলারি স্থাপন করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছিলেন যে রুশ বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় কিয়েভের তিন মাইল বা ৫ কিলোমিটার কাছাকাছি এগিয়ে এসেছে।

এর অর্থ হল, রাজধানীর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এগিয়ে আসা রাশিয়ান সৈন্যরা এখন কিয়েভের কেন্দ্র থেকে মাত্র নয় মাইল বা ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

সেইসাথে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে এগিয়ে আসা রাশিয়ান বাহিনী শহর থেকে ২৫ মাইল বা ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

উত্তরের শহর চেরনিহিভ এখন "বিচ্ছিন্ন" হয়ে পড়েছে বলে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে রুশ বাহিনী এ পর্যন্ত ৭৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে তারা জানান।

এদিকে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে যে তারা বৃহস্পতিবার ১০টি রাশিয়ান যুদ্ধবিমানকে আঘাত করেছে এবং দুটি বড় অস্ত্রবাহী কনভয় ধ্বংস করেছে।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে খারকিভে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

বিবিসির সংবাদদাতা কুয়েন্টিন সোমারভিল এবং ক্যামেরাম্যান ড্যারেন কনওয়ে এক সপ্তাহ কাটিয়েছেন যুদ্ধ বিপর্যস্ত ওই শহরে, যেখানে দেখা যায় ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়াকে ঠেকাতে লড়াই করছে।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খারকিভে রাতভর বিমান হামলা চলে। এতে বেশ কয়েকজন বেসামরিক লোক নিহত হন। আহত হন আরও শতাধিক মানুষ।

ইউক্রেনীয় সৈন্যরাও সামনের সারিতে থেকে প্রতিরোধের কথা জানায়।