যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ইস্তাম্বুলে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা এবং ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন। খবর এএফপি’র।
দুই নেতা ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেছেন। মার্কিন-তুর্কি সম্পর্কের কেন্দ্রে থাকা কতিপয় বিষয় যা প্রয়শই বিতর্ক সৃষ্টি করে- সেসব নিয়েও তারা আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানিয়েছে।
এ সময় বলা হয়েছে, রোববার ইস্তাম্বুলের একটি ব্যস্ত রাস্তায় বোমা হামলায় ৬ জনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যাটো মিত্রের পাশে আছি।’
তুর্কি সরকার এই হামলার জন্য কুর্দি জঙ্গি গোষ্ঠী ‘পিকেকে’ কে দায়ী করেছে। তবে গোষ্ঠিীটি এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
এর আগে সোমবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু মার্কিন দূতাবাসের জারি করা সমবেদনা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি যোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়ে ওয়াশিংটন সহায়তা করে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন দূতাবাসের শোক বার্তা গ্রহণ না করে বরং তা প্রত্যাখ্যান করি।’
বাইডেন-এরদোগান বৈঠকে কৃষ্ণ সাগর পেরিয়ে ইউক্রেনের শস্য বিশ্ববাজারে নিরাপদে রপ্তানির জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ বিঘ্নিত না করার ক্ষেত্রে এটি অত্যাবশ্যক, কিন্তু আগামি শনিবার এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ পুনরায় চালু করার ব্যপারে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তারা উভয়েই একমত হয়েছেন যে, রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়ন প্রচেষ্ট অব্যাহত রাখতে হবে।