ইউক্রেনে রুশ অভিযানের মূল পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে (ডনবাস রিপাবলিক) স্বাধীন করা। সেই অভিযানের প্রাথমিক পর্যায় ইতোমধ্যে শেষও করেছে রাশিয়া।
শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশটির সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ’স মেইন অপারেশনস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান সের্গেই রুডস্কয় বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
বিবিসিকে রুডস্কয় বলেন, ‘ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বাহিনীর যুদ্ধ করার মতো সক্ষমতাও ব্যাপকভাবে হারিয়েছে। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য ডনবাস রিপাবলিককে স্বাধীন করা। আমরা সেদিকেই মনযোগ দিচ্ছি।’
কিন্তু সেক্ষেত্রে রাজধানী কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে কেন হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী—বিবিসির এ প্রশ্নের উত্তরে রুডস্কয় বলেন, ডনবাস রিপাবলিক থেকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মনযোগ অন্যদিকে সরানোর কৌশল হিসেবে কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকায় বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে।
এই প্রথম রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তা সুনির্দিষ্টভাবে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর কারণ ব্যাখ্যা করলেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর আগে কয়েকবার বলেছেন, ইউক্রেনে অভিযান চালানোর লক্ষ্য দেশটিকে ‘নাৎসীবাদীদের’ কবল থেকে মুক্ত করা, কিন্তু তার এই বক্তব্য অনেকেরই বোধগম্য হয়নি। ফলে, অভিযান শুরুর পর থেকেই পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতিবিদরা বলছিলেন— ইউক্রেনের সরকার পতনের মাধ্যমে দেশটিকে দখল করার জন্যই সেখানে অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া।
রুডস্কয় বিবিসিকে জানান, রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত লুহানস্কের ৯৩ শতাংশ ও দোনেৎস্কের ৫৪ শতাংশ এলাকা রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে গেছে। এ ছাড়া অভিযানে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৩৫১ জন, আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২৫ জন রুশ সেনা।
এই সংখ্যা অবশ্য ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের দাবির চেয়ে অনেক কম। এই দেশ দুটির দাবি-অভিযানে এ পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।