ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ১০ লাখের মতো মানুষ দেশটি ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, এবিসি ডট নেটসহ একাধিক আস্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, ‘মাত্র সাতদিনে আমরা ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ১০ লাখ শরণার্থীর প্রস্থান দেখেছি।’
সংস্থাটির অনুমান, এ সংঘাতের কারণে এক কোটির বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হবেন এবং ত্রাণের প্রয়োজন হবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রথম পাঁচ দিনে ২২৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর সংঘর্ষের সময় ইউক্রেনে আরও ৫২৫ বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ হতাহতের বেশিরভাগই ভারী কামান ও মাল্টি-লঞ্চ রকেট সিস্টেম থেকে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলাসহ বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে ঘটেছে।
সংস্থাটি বলেছে, তারা বিশ্বাস করে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা বেশি। কারণ বিশেষ করে সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হতাহতের খবর পেতে বিলম্ব হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মাস ধরে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সেনা জড়ো করে রাশিয়া। দেশটির সেনা মোতায়েন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার সতর্কতা দিয়েছিল। কিন্তু বরাবরই ইউক্রেনে হামলা চালানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেয় রাশিয়া।
এরপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।