ইউরোপে কোনো যুদ্ধ চায় না মস্কো বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সংখ্যক সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর পুতিন একথা বলেন।
একইসঙ্গে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির সঙ্গে সামরিক জোট ন্যাটোর সম্পর্ক নিয়ে রাশিয়ার যে দাবি রয়েছে, সেটি এখনই পুরোপুরি সমাধান হতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, নিকট ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর সদস্য করা হবে না বলে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে রাশিয়াকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এটি সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কোনো নিশ্চয়তা নয়।
পুতিনের ভাষায়, আমাদের এই বিষয়টি এখনই সমাধান করা উচিত এবং আমরা আশা করি (রাশিয়ার নিরাপত্তা নিয়ে) আমাদের যে উদ্বেগ রয়েছে সেটিকে আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ইউরোপে অবশ্যই আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আর এজন্যই আমরা আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি। ফলাফল হিসেবে রাশিয়াসহ সব দেশের জন্য সমান নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের একটি চুক্তি হতে পারে।
এদিকে পুতিনের এই বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার এখনও জোরালো আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেছেন, পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে হামলা হলে বহু সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে এবং রাশিয়ার অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র তার কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন রেখেছে প্রতিবেশী রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।