পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাস্তায় নেমেছে তার কর্মী ও সমর্থকরা। পাকিস্তানজুড়েই পুলিশের সঙ্গে পিটিআই কর্মীদের তুমুল সংঘর্ষের খবর আসছে। দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের লাইভ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিক্ষোভে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। পেশাওয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালের (এলআরএইচ) বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য জানিয়েছে।
এলআরএইচের মুখপাত্র মুহাম্মদ আসিম এক বিবৃতিতে বলেন, মরদেহের শরীরে গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। সংঘাতে আরও ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। এলআরএইচের জরুরি বিভাগ উচ্চ সতর্কতায় আছে।
প্রদেশটির পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে সেনা নামানো হচ্ছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের দমনে কড়া ভাষায় বিবৃতি দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) আজ বুধবার বলেছে, ‘আমরা কাউকে নিজের হাতে আইন তুলে নিতে দেব না।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সেনাবাহিনী ধৈর্য ও সংযম দেখিয়েছে এবং চরম সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। এমনকি সুনামকেও পাত্তা দেয়নি সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীসহ যেকোন আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর ওপর এবং সামরিক ও সরকারি স্থাপনা ও সম্পত্তির ওপর আর কোনো ধরনের হামলা হলে ভয়াবহভাবে প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার ইসলামাবাদের হাইকোর্ট চত্বর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জানানো হয়, দুর্নীতির অভিযোগ তাকে গ্রেপ্তার করেছে এনএবি।
বুধবার ইমরান খানের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বিকেলে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় এ রিমান্ড আদেশ দেন দেশটির ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।