ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে টানা কয়েকদিন ধরে চলা যুদ্ধে অবশেষে বিরতি এসেছে; শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে ১১ দিনের সহিংসতার অবসান হলো।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪০ জন মারা গেছে এবং এদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়।
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর পরই ফিলিস্তিনিরা গাজার রাস্তায় নেমে আসে এবং 'আল্লাহ মহান' 'আল্লাহকে ধন্যবাদ' এসব স্লোগান দিতে থাকে। ইসরায়েল ও হামাস দু’পক্ষই এবারের সংঘাতে তাদের জয় দাবি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি উন্নতির জন্য সত্যিকার সুযোগ এনে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবারও গাজার উত্তরে হামাস স্থাপনাগুলোতে অন্তত একশ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল এবং জবাবে রকেট ছুড়েছে হামাস। উভয় পক্ষের মধ্যে গত ১০ মে লড়াই শুরু হয়েছিলো।
বিবিসি জানিয়েছে, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর আল আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই এলাকাটি মুসলিম ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। সেখান থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়ে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস রকেট ছুড়তে শুরু করে। এর জবাবে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে এ সহিংসতায় গাজায় প্রায় ১০০ নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৩২ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, অন্তত ১০০ যোদ্ধা গাজায় নিহত হয়েছে,তবে হামাস অবশ্য তার যোদ্ধাদের ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য প্রকাশ করেনি।
আর ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১২জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের দাবি গাজা থেকে তার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছে হামাস।
ইসরায়েল বলছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সর্বসম্মতভাবেই। আর নজিরবিহীন সামরিক সাফল্য দাবি করে টুইট করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।