ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানের উদয়পুরে এক হিন্দু দর্জিকে দুই মুসলিম যুবকের হত্যার ঘটনায় উদয়পুরে জারি করা কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করেছে বাসিন্দারা। ওই এলাকায় ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণণে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাজারো সদস্য। খবর এনডিটিভি’র।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে বিজেপির সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় গত মঙ্গলবার কানহাইয়া লাল নামের ওই দর্জিকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে গোস মোহাম্মদ ও রিয়াজ আখতারি নামের দুই মুসলিম যুবক। এই হত্যাকাণ্ডের পর সেখানে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে গোটা রাজস্থানে ১৪৪ ধারা জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, গোটা রাজস্থানে ৪ জনের বেশি লোক এক স্থানে জড়ো হওয়া নিষিদ্ধ।
নিহত দর্জি ফেসবুকে নুপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট দেওয়ার পর থেকে হুমকি পেয়ে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। এ জন্য কয়েকদিন দোকান বন্ধ রাখার পর মঙ্গলবার সেটি পুনরায় খুলেছিলেন তিনি।
এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে হিন্দু, মুসলিমসহ সব সম্প্রদায়।
হত্যার ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়া ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, গোস মোহাম্মদ ও রিয়াজ আখতারি নামের দুই যুবক দর্জির দোকানে গ্রাহকের বেশে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর কানহাইয়া লাল নামের ওই দর্জি এক যুবকের শরীরের মাপ নেওয়ার সময় ধারাল ছুরি দিয়ে তার শিরশ্ছেদের চেষ্টা করা হয়। এ সময় অপর যুবক এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন।
পরে দোকান থেকে পালিয়ে গিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কানহাইয়াকে খুনের ভিডিও পোস্ট করে দায় স্বীকার করেন। এ সময় তাদের উল্লাস প্রকাশের পাশাপাশি পরবর্তী টার্গেট হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দিতে দেখা যায়। পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত দুই যুবককে উদয়পুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত নিশ্চিতের মাধ্যমে আদালতে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। আমি আবারও সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।