প্রচ্ছদ ›› আন্তর্জাতিক

জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি

এক চাকরিতে চলছে না মার্কিনীদের পরিবার, নিতে হচ্ছে দুই কাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৫ জুলাই ২০২২ ১৩:১৭:৪৭ | আপডেট: ২ years আগে
এক চাকরিতে চলছে না মার্কিনীদের পরিবার, নিতে হচ্ছে দুই কাজ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের অনেক দেশের মতো চিড়ে চেষ্টা অবস্থা অনেক মার্কিনীরও। প্রভাবশালী এ দেশটির নাগরিকরাও দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। যে কারণে, এক চাকরিতে তারা পেরে উঠছেন না পরিবারের আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলাতে। তাই পাশাপাশি আরও একটি চাকরি নিচ্ছেন। আর যে সেভাবে পারছেন লাগাম টেনে ধরছেন খরচের।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন দুর্বিষহ অবস্থা উঠে এসেছে। কারণ, দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বেশি দিতে হচ্ছে গ্যাসের দাম, বেড়েছে ভাড়াও।

খবরে বলা হয়, অনেক মানুষ ইতোমধ্যেই যেভাবে পারছেন ব্যয় কমাচ্ছেন। অনেকে আবার খাদ্য, গ্যাস, ভাড়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনে ক্রমবর্ধমান খরচ মেটাতে সঞ্চয় ভাঙছেন। এরপরও গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতিতে দেশটির লক্ষাধিক পরিবারের হিমশিম অবস্থা।

একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, তিন-চতুর্থাংশ মধ্যম আয়ের আমেরিকান বলছেন, তারা জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য যা প্রয়োজন, তা তাদের ইনকাম হচ্ছে না।

কলম্বিয়া বিজনেস স্কুলের প্রফেসর মার্ক কোহেন বলেন, যে অবস্থা চলছে, তাতে ক্রেডিট কার্ডে চাইলেই টাকা ঢুকানো যায়, কিন্তা তা পরিশোধ করতে গেলে আপনাকে হয়তো দ্বিতীয় আরেকটি চাকরি নিতে হবে।

তিনি আরও বলেছেন, আপনি প্রতি মাসে কত আয় করেন আর কত ব্যয় করেন? যদি আপনার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়, তাহলে আপনাকে অন্য চাকরি বা অতিরিক্ত আরেকটি চাকরি খুঁজতে হবে।

আরও পড়ুন- আমেরিকায় ঢোকার চেষ্টা, হাইতির ১৭ জন নিহত

সেন্ট লুইস ফেডারেল রিজার্ভের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় প্রায় ৪ ভাগ চাকরিজীবী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক চাকরি করেছিলেন। কিন্তু চলতি বছর সেই পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। যারা সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন।

দেশটির শ্রম অফিসের তথ্যানুসারে, গত জুনে ৪ লাখ ২৬ হাজার মানুষ দুটি পূর্ণকালীন চাকরি করেছেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে যা ছিল ৩ লাখ ৮ হাজার। সেইসঙ্গে আরও অনেক শ্রমিকরা আর্থিক টানাপোড়েনে পড়েছেন।

অবশ্য, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দুটি চাকরির প্রবণতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী চাকরির বাজার এবং শক্তিশালী কর্মসংস্থানের সুযোগকেও বুঝায়।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্দলীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অর্থনৈতিক নীতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি হেইডি শিয়েরহোলজ বলেছেন, ঐতিহাসিকভাবে শ্রমবাজার শক্তিশালী হলে কর্মীদের অংশীদারিত্ব বেড়ে যায় এবং শ্রমবাজার দুর্বল হলে নিচে তা নেমে যায়। এটি মূলত চাকরির প্রাপ্যতার প্রশ্ন। শ্রমবাজার শক্তিশালী হওয়ার কারণে আমরা একাধিক চাকরির এই বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।

আরও পড়ুন- কোত্থেকে, কবে আসবে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ?