ভারতের সর্বশেষ মারাত্মক ট্রেন দুর্ঘটনায় শুক্রবার দুই শতাধিক মানুষ নিহত এবং ৯শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনও কয়েকশ’ মানুষ দুর্ঘটনাকবলিত রেল গাড়ির মধ্যে আটকা পড়েছে।
প্রতিদিন ভারতজুড়ে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ ১৪ হাজার ট্রেনে চড়ে ৬৪ হাজার কিলোমিটার (৪০ হাজার মাইল) পথ ভ্রমণ করে। রেল নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ভারতে প্রতিবছর কয়েকশো ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। বেশিরভাগ ট্রেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় মানবিক ত্রুটি বা সেকেলে সিগন্যালিং যন্ত্রপাতিকে।
এক নজরে ভারতের সাম্প্রতিক কয়েকটি প্রাণঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা
২০১৮ সালের অক্টোবর- উত্তর ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের একটি শহর অমৃতসরের উপকণ্ঠে একটি ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে আতশবাজি দেখার জন্য জড়ো হওয়া জনতার ওপর দিয়ে একটি ট্রেন ছুটে যায়। যাতে কমপক্ষে ৬০ জন মারা যায় এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়।
২০১৬ সালের নভেম্বর- ইন্দোর ও পাটনা শহরের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন ট্র্যাক থেকে লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ১৪৬ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল।
২০১১ সালের জুলাই- উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ফতেহপুরের কাছে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় ৬৮ জন নিহত এবং ২৩৯ জন যাত্রী আহত হয়।
২০১০ সালের মে- পশ্চিমবঙ্গে একটি যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ১৪৫ জন নিহত হয়। কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনার জন্য মাওবাদী বিদ্রোহীদের নাশকতাকে দায়ী করে।
২০০৫ সালের অক্টোবর- ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের ভেলিগন্ডা শহরে বন্যার পানিতে রেললাইন ডুবে যাওয়ায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ১১১ জন নিহত হয়। এছাড়াও প্রায় ১০০ জন যাত্রী আহত হয়।
২০০২ সালের সেপ্টেম্বর- ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনায় কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিগামী একটি এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২১ জন নিহত হয়।
১৯৯৯ সালের আগস্ট- গৌহাটি শহরে দুটি ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৮৫ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।
১৯৯৮ সালের নভেম্বর- উত্তরের শহর খান্নাতে দুই টেনের সংঘর্ষে ২১০ জন নিহত হয়।
১৯৯৫ সালের আগস্ট- নয়াদিল্লির কাছে দুটি ট্রেন সংঘর্ষে ৩৫৮ জন নিহত হয়।