ওমিক্রনকে মৃদু সংক্রমণ বলে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাসচিব তেদ্রস আধানম গেব্রিয়াসুস।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সংস্থাটির প্রধান বলেছেন, গত সপ্তাহে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে। তিনি বলেন, বছর শেষে ছুটির কারণে এবং পরিস্থিতিকে অগ্রাহ্য করার কারণে বেড়েছে সংক্রমণ।
গত এক সপ্তাহে বিশ্বে ৯৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় এবং করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার হার ৭১ শতাংশতে উঠে আসায় এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
তেদ্রস আধানম বলেন, করোনার অন্যান্য ধরনের মতো ওমিক্রনের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ওমিক্রন সুনামির মত বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই নতুন ধরনের কারণে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে যাচ্ছে। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থাটি জানিয়েছে, সাপ্তাহিক হিসাবে ৯৫ লাখ ২০ হাজার ৪৮৮ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একই সময়ে করোনায় মারা গেছেন, ৪১ হাজার ১৭৮ জন। এর আগের সপ্তাহে করোনায় মারা যান ৪৪ হাজার ৬৮০ জন।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, করোনার অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রন ডেল্টার পর এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানায়, গত সপ্তাহে আমেরিকান অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু আফ্রিকায় সংক্রমণ বেড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সর্বপ্রথম ধরা পরে দক্ষিণ আফ্রিকায়। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিএইচও) বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববাসীকে। একই সঙ্গে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানায়। অতি দ্রুত সংক্রমণশীল এই ধরন এখন বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়েছে। কোনো কোনো দেশ ওমিক্রন ঠেকাতে পুনরায় চালু করেছে বিধিনিষেধ।