আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্ত সংঘর্ষের পর এবার মধ্য এশিয়ার কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তে তীব্র লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। খবর বিবিসি’র।
বিবিসি বলছে, মধ্য এশিয়ায় সাবেক দুই সোভিয়েত রাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত নিয়মিত ঘটনা। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এ দুই দেশের দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে আবার সংঘাত শুরু হয়। কিন্তু শুক্রবার সেটা ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছায়। ভারী ট্যাংক, কামান ও রকেট লঞ্চারের মতো অস্ত্র নিয়ে লড়াই চলে উভয়পক্ষের বাহিনীর মধ্যে। গোলার শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তজুড়ে।
কিরগিজস্তানের আঞ্চলিক রাজধানী বাতকেনে রকেট হামলা চালায় তাজিক যোদ্ধারা। এমন অভিযোগ এনে দেশটির জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘তীব্র সংঘর্ষে হতাহত এড়াতে সীমান্ত এলাকা থেকে নিজেদের ১ লাখ ৩৬ হাজার বেসামরিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।’
শুক্রবার কিরগিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের হামলায় কিরগিজস্তানে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তাজিকিস্তান থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেখানে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
কিরগিজ সীমান্তরক্ষীরা তাজিকিস্তানকে সীমান্তের এমন অংশে অবস্থান নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে যা এখনও বিতর্কিত অর্থাৎ সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। অন্যদিকে তাজিকিস্তান বলেছে, কিরগিজ রক্ষীরা উস্কানি ছাড়াই গুলিবর্ষণ করেছে।
অন্যদিকে কিরগিজ বাহিনী ‘ভারী অস্ত্রসহ’ একটি ফাঁড়ি এবং সাতটি গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাজিকিস্তান।
রেড ক্রসের একটি আঞ্চলিক শাখা জানিয়েছে, সহিংসতা এড়াতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা নতুন করে তৈরি করেছে।