মানব পাচারের মামলায় কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশের সাবেক এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাকে ২৭ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে গালফ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি হাই প্রোফাইল মানব পাচার মামলায় পাপুলকে সাজা দিয়েছে কুয়েতের শীর্ষ আপিল আদালত। এ ছাড়া পাপুলের কাজে সহযোগিতা করায় কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মাজেন আল জাররাহ, জনশক্তি পরিচালক হাসান আল খিদরকেও সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কুয়েতের ওই সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের মামলায় নিজ নিজ পদ থেকে বহিষ্কারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কুয়েতের সাবেক এমপি সালাহ খুরশিদকেও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং প্রায় সাড়ে সাত লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ ও ঘুষের মামলায় পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের আদালত। ওই সময় তাকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, একটি কোম্পানির মাধ্যমে অবৈধভাবে তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কুয়েত পাঠান। তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাচারের শিকার বাংলাদেশিদের অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়।
জানা যায়, সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেওয়ার কাজ করলেও কুয়েতে অন্যান্য ব্যবসার কাজও করে।