রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন ক্রেমলিনে দুটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয় মঙ্গলবার রাতে। এ ড্রোন হামলার মূল পরিকল্পনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছে রাশিয়া। খবর এএফপি’র।
মস্কো জানায়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হামলার পরদিন ক্রেমলিন থেকে তার কাজ করেন। এ হামলা তাকে হত্যার ইউক্রেনীয় একটি প্রচেষ্টা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এই ধরনের হামলার সিদ্ধান্ত কিয়েভে নয়, ওয়াশিংটনে নেয়া হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিয়েভকে যা করতে বলা হয় তারা সেটিই করে থাকে। ওয়াশিংটনের স্পষ্টভাবে বোঝা উচিত যে আমরা এটা জানি।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ হামলার দায় অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমরা মস্কো বা পুতিনকে আক্রমণ করিনি। আমরা আমাদের ভূখণ্ডে লড়াই করছি। আমরা আমাদের গ্রাম এবং শহরকে রক্ষা করছি।’
এদিকে ওয়াশিংটন তাদের বিরুদ্ধে করা মস্কোর এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি এমএসএনবিসি’তে বলেন, ‘এ ব্যাপারে পেসকভ একেবারে সম্পূর্ণভাবে মিথ্যাচার করছেন।’
গত মঙ্গলবার রাতে পুতিনের বাসভবন ক্রেমলিনে দুটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। দেশটি বলেছে, দুটি ড্রোন দিয়ে ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা’র মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে হামলার সময় ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোর বাইরে নভো ওগারিয়োভো কার্যালয়ে ছিলেন এবং তিনি নিরাপদে আছেন বলেও জানায় সংবাদ সংস্থা রিয়া।
এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, ক্রেমলিনে হামলাকারী ড্রোন দুটি ধ্বংস করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। প্রেসিডেন্ট পুতিন নিরাপদেই আছেন।