উত্তর ক্রোয়েশিয়ার একটি মহাসড়ক থেকে বাস ছিটকে পড়ে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন।
শনিবার ভোরে বসনিয়ার একটি মাজারগামী তীর্থযাত্রীদের বহনকারী পোল্যাণ্ডের একটি বাস এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ক্রোয়েশিয়ান পুলিশ এক টুইটে বলেছে, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুসারে পোলিশ লাইসেন্স প্লেটসহ একটি বাস মহাসড়ক থেকে ছিটকে খাদে পড়ে ১১ জন মারা গেছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’
কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘আরও একজন যাত্রী হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান। বাসটিতে মোট ৪৩ জন যাত্রী ছিল।
ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় এইচআরটি টেলিভিশন জানিয়েছে, প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে, যাদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।
এতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ ছিল চালকের ঘুম।
সম্প্রচারকারী হাইওয়ের পাশে একটি মাঠে ভেঙে পড়া নীল বাসের ভিডিও দেখিয়েছে। বাসটি ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবের দিকে যাচ্ছিল।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি বলেছেন, বাসটি তীর্থযাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল দক্ষিণ বসনিয়ার মেদজুগোর্জে শহরে। লর্ডেস ও ফাতিমার পরে উপাসনালয়টি ইউরোপের তৃতীয় জনপ্রিয় তীর্থযাত্রার গন্তব্য।
মোরাউইকি এক ফেসবুকে পোস্টে বলেন, ‘আজ সকালে ক্রোয়েশিয়ায় ঘটা দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। এবং ক্রোয়েশিয়া স্বাস্থ্য বিভাগকে আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ক্রোয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাভর বোজিনিক বলেছেন, সূত্রের তথ্যমতে বাসটি ‘ওয়ারশ’র কাছাকাছি কোনো জায়গা থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মেদজুগোর্জে যাচ্ছিল।
ক্রোয়েশিয়ান গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে।