গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ১৬ শিশুসহ অন্তত ৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪০০ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার থেকে ইসরায়েলি জঙ্গি-বিমানগুলো গাজার বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত বোমাবর্ষণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ইসলামী জিহাদের তিনজন প্রতিরোধ যোদ্ধা রয়েছেন।
ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ বুধবার জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের ছয়জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এশকেলন শহরে দুইজন, তেল আবিবের রিশন এলাকায় একজন প্রাণ হারিয়েছে। ট্যাংক বিধ্বংসী রকেটের হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলেও পত্রিকাটি জানিয়েছে, তবে কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে তা উল্লেখ করেনি।
গাজায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এটি কেবল শুরু। আমরা তাদের এমনভাবে আঘাত করব, যা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। আমরা সামরিক অভিযানের মধ্যবর্তী অবস্থায় রয়েছি। হামাস ও ইসলামী জিহাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আমরা অরাজকতা বন্ধ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। ইসরায়েলের শহরগুলোতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও নির্মমভাবে ও নৃশংস উপায়ে সমস্ত বাহিনী দিয়ে এই অরাজকতা বন্ধ করা হবে।’
তবে গাজা জানিয়েছে, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত থাকবে, তারা কোনোভাবেই পিছু হটবে না। গাজা থেকে ইসরায়েলে এক হাজার ৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোঁড়া হয়েছে বলে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে।
গত শুক্রবার থেকে আল আকসা মসজিদকে ঘিরে উভয়পক্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। মূলত এ থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। আল আকসা প্রাঙ্গণে গত কয়েক দিনে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩শ’রও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহ জেলা থেকে ৭০টির বেশি ফিলিস্তিনি পরিবার উচ্ছেদের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তা নিয়েই সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা শুরু হয়। সোমবার ভোরে আবারও ইসরায়েলি বাহিনী আল আকসায় ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও বোমা ছুঁড়েছে। এতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়।