ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে রোববার ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। এ দিনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ গেছে আরও ৪২ ফিলিস্তিনির, যা গাজায় হামলা শুরুর পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজায় স্থানীয় সময় সোমবারও গাজার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৮০ টি ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তার কিছু আগেই ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসও রকেট হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়; গাজার রাস্তা, ভবন, হামাসের প্রশিক্ষণ শিবির ও ঘরবাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের বেশির ভাগ জায়গায় রাতভর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৪২ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জন নারী ও ১০ জন শিশু রয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজা, পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ২০০ জন হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫৫ জনই শিশু, ৩২ জন নারী। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে আগামীকাল মঙ্গলবার।
গতকাল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ‘ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও অন্যরা যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, যত দিন প্রয়োজন, তত দিন হামলা চলবে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার জন্য ইসরায়েলি জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জেরুজালেমের আল-আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদা আদায়কে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।