অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে জ্বালানি নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে। পরিবহণ সেক্টরও প্রায় বন্ধ। বিদ্যুৎ বাঁচাতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে দেশটিতে। রাস্তায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ আন্দোলন। এ পরিস্থিতিতে ১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।
মঙ্গলবার রাতে ওই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ, রাজাপাকসে সরকার শুধু চীনের কাছে সর্বস্ব বিক্রি করে দেয়নি, অন্যান্য দেশের থেকেও সব কিছু বাকিতে কিনেছে। ফলে শ্রীলঙ্কা এখন ঋণে জর্জরিত। মানুষের হাতে টাকা নেই। এ দিকে বাজারে সবকিছুর মূল্যও অনেক বেশি।
দ্বীপরাষ্ট্রটির বিক্রেতাদের অভিযোগ, এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মানুষের হাতে কোনও টাকা নেই। চীনকে সর্বস্ব বিক্রি করে দিয়ে এখন নিঃস্ব রাজাপাকসে সরকার। অন্য দেশের কাছ থেকেও ধারে কিনতে হচ্ছে সব কিছু। ব্যবসা তো চলছেই না, দিন দিন মানুষের হাতের টাকাও শেষ হয়ে আসছে।
দ্বীপরাষ্ট্রটির ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এ অবস্থা চলমান থাকলে আর কিছু দিন পর না খেয়ে মারা যাবে শ্রীলংকার মানুষ।
প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি এবং বিদ্যুতের সঙ্কটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে রাজনৈতিক সঙ্কট। সোমবারই পদত্যাগ করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের অপসারণের দাবি জোরালো হয়েছে। নতুন সরকার তৈরির ভিতও বেশ দুর্বল। জ্বালানির কারণে এর মধ্যেই দাম বাড়তে শুরু করেছে সাধারণ শাক-সবজি, ফলের। তার পাশাপাশি রয়েছে যোগানের অভাবও।
এছাড়াও কলম্বোয় আপেল বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকা প্রতি কেজিতে। নাসপাতির দাম ৭০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে কেজিতে ১৫০০ টাকা।