জাপানে তাণ্ডব চালাচ্ছে সুপার টাইফুন নানমাদল। এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন। খবর এএফপি’র।
মঙ্গলবার সরকারের এক মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।
রোববার রাতে জাপানের কাগোশিমা নগরীতে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। উপকূল থেকে গতিপথ পরিবর্তন করে শক্তিশালী টাইফুন নানমাদল তাণ্ডব চালাচ্ছে জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপে। অব্যাহত রয়েছে ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিপাত।
দেশটির ১৪তম শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিধ্বস্ত অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ও আবাসিক স্থাপনা। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অঞ্চলটির দুই লাখের বেশি মানুষ।
ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অন্তত ৯০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে কয়েক লাখ মানুষ ঠাঁই নিয়েছেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।
মঙ্গলবার সকালে এটি দূর্বল হয়ে এক্সট্রাট্রপিক্যাল সাইক্লোনে পরিণত হয় এবং তা দেশটির উত্তরপূর্ব উপকূল অতিক্রম করে।
ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নগরীর বহু গাছপালা উপড়ে পড়ে ও ঘরবাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায় এবং এর প্রভাবে মিয়াজাকি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় এক মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ অঞ্চলে দুইজনের মৃত্যু ঘটেছে।
সরকারি মুখপাত্র হিরোজাকু মাতসুনো জানান, একেবারে অবচেতন অবস্থায় অপর দুইজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১১৪ জন আহত হন। এদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
মঙ্গলবার প্রথম প্রহর নাগাদ দেশব্যাপী প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ সব ঘরবাড়ি অধিকাংশ কিউশুতে অবস্থিত।