পুলিশের গুলিতে নাহেল নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় পঞ্চম দিনের মতো ফ্রান্সের রাজধানী মার্সেইতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ চলছে। যা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ এড়াতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেও হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিস জানায়, শনিবার সন্ধ্যায়ও মার্সেস জুড়ে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। রাত থেকে আবারও রাস্তায় জড়ো হওয়া শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। রোববারও সারারাত ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন টুইট করে জানিয়েছেন, গত রাতে সবমিলিয়ে ৪২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দ্বিতীয় রাতের জন্য সারাদেশে প্রায় ৪৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া জার্মানি সফর বাতিল করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রো। ২০১৮ সালের শেষের দিকে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ বিক্ষোভের পর শাসনকালের সবচেয়ে বড় সংকট মোকাবিলায় তিনি এমন ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ফ্রান্সে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত গত মঙ্গলবার থেকে। ওই দিন সকালে প্যারিসের উপশহর নানতেরে ট্রাফিক বিধি অমান্য করে জোরে গাড়ি চালানোর অভিযোগে নাহেল এম নামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু নাহেল গাড়ি না থামিয়ে সরে পড়ার চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে এক পুলিশ। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাহেলের।
নাহেলের পরিবারের সদস্যরা আলজেরিয়া থেকে গিয়ে ফ্রান্সে স্থায়ী হয়েছেন। তাদের আর্থিক অবস্থাও খুব ভাল নয়। প্যারিসের নানতের উপশহরটি মূলত দরিদ্র অধ্যুষিত এলাকা। সেখানেই মায়ের সাথে থাকতেন তিনি। নাহেল ও তার মা মৌনিয়া ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
বিক্ষোভকারীদের মতে, বর্ণবাদমূলক আচরণ থেকেই ওই পুলিশ তাকে সরাসরি গুলি করেছেন।