সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার দুপুরে আর ট্রাম্প যখন ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কের আদালতে যাবেন তখন তাকে ঘিরে থাকবে ফেডারেল এজেন্টরা।
তিনি ফ্লোরিডা থেকে তার ব্যক্তিগত বিমানে করে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে এবং তার সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে ওই এজেন্টরা।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামের এক নারীর সাথে তার সম্পর্ক গোপন রাখার বিনিময়ে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার অর্থ প্রদান করেছেন। তবে ট্রাম্প, তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং শুক্রবারও বিচারকদের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিনির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি তদন্তের পর যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে তার একজন আইনজীবী শুক্রবার বলেছেন তিনি নিজেও এগুলো এখনো দেখেননি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের আদালতে যাওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সিক্রেট সার্ভিসের কয়েক ডজন বা সম্ভবত একশরও বেশি সদস্য জড়িত থাকবেন। স্থানীয় সময় বেলা সোয়া দুইটায় শুনানি শুরু হবে।
এবিসি টেলিভিশনকে ট্রাম্পের আইনজীবী জো ট্যাকোপিনা বলেছেন যে ‘ট্রাম্প সম্ভবত মঙ্গলবার আদালতে যাবেন। কিন্তু কিছুই নিশ্চিত নয়’। অবশ্য তিনি যোগ করেন যে, ‘প্রেসিডেন্টকে হাতকড়া পড়ানো হবে না’। কারণ এটা সাধারণত তাদেরকেই পড়ানো হয় যাদের ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়।
ট্রাম্পের আদালতে আত্মসমর্পণকে ঘিরে নিরাপত্তার পুরো বিষয়টি দেখছে এফবিআই, এনআইপিডি, সিক্রেট সার্ভিস ও নিউইয়র্ক সিটি কোর্ট কর্মকর্তারা।
সিবিসি টেলিভিশনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এসব সংস্থা এখন ট্রাম্প, বিচারক ও আইনজীবী সহ সংশ্লিষ্টদের ওপর হামলাসহ সম্ভাব্য নানা কিছু বিশ্লেষণ করছে।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস ইতোমধ্যেই ‘অনেকগুলো হুমকি’ পেয়েছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।
অনেকে মনে করছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট যখন আদালতে আসবেন তখন আসলে পুরো এলাকা লকডাউন করে দেয়া হতে পারে।
এর আগে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস ট্রাম্পকে শুক্রবারে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলো কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য সময় দরকার বলে।
এদিকে রিপাবলিকান স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে আগামী নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমকে ব্যবহারের অভিযোগ করে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
জর্জিয়ার কংগ্রেস সদস্য মারজরি টেইলর গ্রিন তার অনুসারীদের প্রতিবাদ করার আহবান করেছেন। তিনি নিজেও আদালতে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটনে ইউএস ক্যাপিটল পুলিশ বলেছে, তারা মনে করছে সারাদেশেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ হতে পারে এবং সে কারণে রাজধানীতে নিরাপত্তা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে তারা।
এদিকে হোয়াইট হাউজ থেকে মিসিসিপি যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।