নাইজেরিয়ার রাজধানী লাগোসে নির্মাণাধীন একটি ২১তলা ভবন ধসের ঘটনায় তিনজনের জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভবনটির ভেতরে অনেকে আটকা পড়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, লাগোসের ইকোয়িতে নির্মাণাধীন ২১তলার ভবনটি স্থানীয় সময় সোমবার ধসে পড়ে।
এ ঘটনার পরপরই উদ্ধারকর্মীরা কাজ শুরু করে। তবে ভবনটির ভেতরে ঠিক কতজন আটকা আছেন সে সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা। এরইমধ্যে কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধারও করা হয়েছে।
লাগোস পুলিশ কমিশনার হাকিম ওদুমসু তিন জনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করলেও আটকা পড়ার সংখ্যা নিয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। ধসের ঘটনার অনেক সময় পার হলেও স্বজনদের সন্ধান না পেয়ে ঘটনাস্থলে ক্ষোভ জানাচ্ছেন অনেকে।
নাইজেরিয়ার জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র ইব্রাহিম ফারিনলোয়ি ধসে পড়া ভবনটির ভেতর থেকে চারজনকে উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে তলবের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভবনটির চার নির্মাণ শ্রমিক এএফপিকে জানায়, ধসে পড়ার সময় অনেকে এর ভেতরে কাজ করছিলেন।
পিটার আজাবি নামে ২৬ বছর বয়সী ভবনটির এক শ্রমিক জানান, ভবনে অন্তত ৪০ জন ছিলেন, ১০ জনের মরদেহ দেখেছি কারণ আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গিয়েছি। মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন আমার পরিচিত।
দৌড়ে প্রাণ বাঁচানো এরিক টেথি নামে আরেক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, আমি ও আমার ভাই প্রাণে বেঁচে গেছি। তবে ভবনটি ধসে পড়ার সময় অন্তত একশর বেশি শ্রমিক ভেতরে কাজ করছিল।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটিতে প্রায়ই ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। ভবন নির্মাণের নীতিমালা খুব কমই মানা হয় দেশটিতে। এছাড়া ভেজাল ও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও প্রায়ই পাওয়া যায়।